× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে ভাঙনের সুর


কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগ এনে তাদের সাময়িক অব্যাহতি দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। পাশাপাশি তিনি নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করেন।

আরেক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২ জুলাই নুর কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কমিশন পরিষদের নেতৃত্ব বাছাই করবে। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু হানিফকে। এর বিপরীতে নুরের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার ওই ঘোষণাকে চরম অসাংগঠনিক কার্যকলাপ আখ্যা দিয়ে রোববার (৪ জুলাই) এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।

                                                            ADVERTISEMENT

 নুরুল হক নুর স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ মিটিংয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ ব্যাখা প্রদান করার অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুজ জাহেরকে তদন্ত কমিটির প্রদান দেখানো হয়। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন- আবু হানিফ, ঝুনু রঞ্জন দাস, আব্দুর রহমান, মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন।

অপরদিকে রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উল্লেখিত নোটিশের আলোচনায় কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। তাই ওই সভায় সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার এখতিয়ার কারও নেই।

 তিনি আরও বলেন, তিনি (নুর) যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন, সেটা সম্পূর্ণ অসাংগঠনিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের উত্তর দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে আলোচনা হবে।

নুরুল হক নুর  বলেন, গত পরশু (২ জুলাই) মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয় যে, দীর্ঘদিন আহ্বায়ক কমিটি ছিল। এবার পরিষদের পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি করা হবে। সবার আলোচনার ভিত্তিতে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য একটি ডিসিপ্লিনারি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দুটি বিজ্ঞপ্তিই আমি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক সংগঠনে দু-একজন চান, নিজের মেয়াদ একটু ধরে রাখতে। আমি দেখেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশেদ খাঁন মিটিংয়ের বিষয়টি অস্বীকৃতি জানিয়ে একটি প্রেস রিলিজ দিয়েছেন। এটা হয়তো তার ব্যক্তিগত রাগ ক্ষোভের জায়গা থেকে। আমি যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, সেটি সম্পূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে।

কাউকে অব্যাহতি কিংবা কমিটি বাতিল করার এখতিয়ার  রাখেন কি না - এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক নুর বলেন, স্বাভাবিকভাবেই অনেক দেশেই লিখিত সংবিধান নেই। কিন্তু সেসব দেশেও তো কার্যক্রম চলে। অনেক কিছু আইনে নেই, কিন্তু বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, গঠনতন্ত্র না থাকলেও আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করতে হয়। আমি মনে করি, সংগঠনের যারা নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল, তারা যেকোনো বিষয়ে একমত হলে সেটাতে আর সমস্যা থাকার কথা না।

এ ঘটনায় সরকারের ইন্ধন থাকতে পারে উল্লেখ করে নুর বলেন, সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনে বিশৃঙ্খলা তৈরি, সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করে ভাঙন, সুবিধা দিয়ে কাউকে কাউকে কিনে নেওয়া এ ফ্যাসিবাদী সরকারের এজেন্সিগুলোর নিয়মিত কাজ। আমরা এ মুহূর্তে যেহেতু সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছি। সেক্ষেত্রে তাদের ইন্ধনও থাকতে পারে।  আহ্বায়ককে ডিঙিয়ে একজন যুগ্ম আহ্বায়ক এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এ কারণে আমরা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।

 

No comments