× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



প্রকল্পের ঘর দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দখল করে পরিচিতদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আলাদী হাটের গুচ্ছগ্রামের ঘরের তালিকায় আঞ্জু আক্তার, লাইলি বেগম ও জুলেখা বেগমের নাম আসে। সেই অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘরগুলো রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রুমি আক্তার ভুক্তভোগীদের ঘর বের করে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও তাতে তোয়াক্কা করেনি ইউপি সদস্য। ADVERTISEMENT
আঞ্জু আখতার অভিযোগ করে বলেন, নারী ইউপি সদস্য রুবি আক্তার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে ও আমার স্বামীকে মারপিট করেছে। আমাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তার লোকদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার থেকে ঘর দিয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের ঘর কেড়ে নিলো। আমার নামে বরাদ্ধ করা ঘর তিনি রাহিলা বেগম নামে একজনকে দিয়েছে। জুলেখা বেগম নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, কিছু দিন ধরেই ইউপি সদস্য রুবি আক্তার আমাদের ঘরটি নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের মারতে আসে। আজ তারা আমাদের ঘর দখল করে নিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। নারী ইউপি সদস্য রুবি আক্তার বলেন, এখানে কোনো মারপিট হয়নি। এখানে ঘর নিয়ে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার তালিকা থেকে তিনজন মানুষকে ঘর দেওয়া হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্য ইউপি সদস্যরা টাকার বিনিময়ে অন্যদের ঘর দিয়েছে। তাই আজকে আমি আমার ওই তিনজনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে এনে ঘর দিয়েছি। চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, আমার ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রয়েছে ২১৭টি। এর মধ্যে আলাদিহাট ধনিবস্তি গুচ্ছগ্রাম এলাকায় রয়েছে ৫৬টি। আশ্রয়ণের ঘরে অসহায় মানুষরা বসবাস করছে। ADVERTISEMENT
তিনি আরও বলেন, নারী ইউপি সদস্য রুবি আক্তার পাঁচজনের তালিকা দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সবাইকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি। আজ নারী ইউপি সদস্য রুবি আক্তার তার লোকদের অন্যদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কাজটি ঠিক করেননি তিনি। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যার নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ হয়েছে তারাই সেই ঘরে বসবাস করতে পারবে। এখানে অন্য কারও বসবাসের সুযোগ নেই।

No comments