× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু

তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডিক্লারেশন থাকার পরও ৪৫০টি পত্রিকা গত দুই বছরে একটি কপিও বের করেনি। এ পত্রিকাগুলো করে কী? তারা সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয়, একটা কার্ড দেয় এবং তাদের কোনো বেতন দেয় না। এগুলো হচ্ছে ‘ভূতুড়ে পত্রিকা’। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ তারা বিজ্ঞাপনে ভাগ বসায়। যেদিন বিজ্ঞাপন পায়, সেদিন এক কপি ছাপায়। Advertisement
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এসব পত্রিকায় যারা কাজ করেন তারা বেতন পান না, ফলে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন। আর সেই বদনাম সাংবাদিক সমাজের ওপর পড়ে। এজন্য এসব ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের জন্য যা কিছু করেছেন, তা অতীতে কেউ করেননি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে যদি আমরা তুলনা করি, সেই তথ্যে আমরা দেখতে পাই, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের জন্য যে ব্যবস্থাগুলো ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে, আশপাশের দেশে তা করা হয়নি। যারা বড় বড় কথা বলেন এবং দলাদলি করেন, তারা কিন্তু এই কাজগুলো করেননি। গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করেছেন, সেটি অন্য কোনো সরকার করেনি। Advertisement
তিনি আরো বলেন, আজকে ৩৭টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল, দুই একটি অন এয়ারে আসবে শিগগিরই। এতোগুলো প্রাইভেট চ্যানেলের কারণে কিন্তু অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই যে এতো মেধাবী শিক্ষার্থী সাংবাদিকতায় লেখাপড়া করে বের হচ্ছেন, এ প্রাইভেট চ্যানেলগুলো না থাকলে তারা কোথায় চাকরি করতেন? একইসঙ্গে পত্রপত্রিকার সংখ্যা ৪৫০ ছিল, সেখান থেকে ১ হাজার ২৫০ হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম। যেসব পত্রিকা ডিক্লারেশন নিয়ে সেই অনুযায়ী চলে না বা পত্রিকা বের করে না, সেগুলোর ডিক্লারেশন রাখার যৌক্তিকতা কী? আমি খোঁজ নিয়েছি ৪৫০ পত্রিকা গত দুই বছরে একটি কপিও বের করেনি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ। Advertisement

No comments