× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



সম্পদের হিসাব নিতে আরও তৎপর হচ্ছে সরকার

দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক নানা সচ্ছল ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের হিসাব নিতে আরও কঠোর হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের স্ত্রী-সন্তানদের নামে সম্পদের তথ্যও দিতে হবে। তবে এবার দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্পদের হিসাব নিতে তথ্য আদান-প্রদান করবে মন্ত্রণালয়গুলো। দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবও দেওয়া হবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবও দেওয়া হবে। গতকাল রোববার তিনি তিনি বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সার্কুলারটি খতিয়ে দেখবো। তার আওতায় যদি দুদক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হয় তাহলে দেব। অন্যথায় আলাদা সার্কুলার করে আমরা সম্পদের হিসাব দেব। সরকারের চাকরি করে সম্পদের হিসাব দেবে না এটা হবে না।Advertisement ’
অন্যদিকে এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, সম্পদের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। দুদকের জন্য এটা দিতে সুবিধা হবে। কেননা দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারী হলো সাড়ে ১১শ’। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হলো সাড়ে ১১ লাখ। সম্প্রতি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের বিবরণী (হ্রাস-বৃদ্ধি) জমা দেওয়ার নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না। এ বিষয়ে সরকারেরও কোনো তদারকি নেই। এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালাটি কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গাড়ি থাকলে স্ত্রীর সম্পদের তথ্যও জানাতে হবে আপনার যদি একটি গাড়ি থাকে, তাহলে আপনার নিজের সম্পদের পাশাপাশি স্ত্রী বা স্বামীর সম্পদের হিসাবও দিতে হবে। এবার গাড়িওয়ালাদের স্ত্রী বা স্বামী, নাবালক সন্তান বা পোষ্যদের নামে থাকা সব ধরনের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী জানতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কারণ, অনেক গাড়িওয়ালার জীবনযাপন ও আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় স্ত্রী বা সন্তানদের নামে সম্পদ লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ আছে। ফলে করদাতা ও তাঁর পরিবারের প্রকৃত সম্পদ কত, তা জানতে পারেন না কর কর্মকর্তারা। Advertisement
মোটা দাগে ধনী করদাতাদের জন্য সম্পদের বিবরণী প্রতিবছরই দাখিল করা বাধ্যতামূলক। বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পাশাপাশি কাদের সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে, সে সম্পর্কে তিনটি শর্ত নির্ধারণ করেছে এনবিআর। প্রথমত, করদাতার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে; দ্বিতীয়ত, একটি মোটরগাড়ির মালিক হলে এবং তৃতীয়ত, সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহ-সম্পত্তিতে বিনিয়োগ বা অ্যাপার্টমেন্ট থাকলেই সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। কোনো করদাতা একটি শর্ত পূরণ করলেই বাধ্যতামূলকভাবে নিজের, স্ত্রী বা স্বামী, নাবালক সন্তান বা পোষ্যদের নামে কোথায় কী সম্পদ আছে, তা জানিয়ে আয়কর রিটার্নের সঙ্গে সম্পদের বিবরণীও জমা দিতে হবে। অর্থাৎ এর মধ্যে একটি হলেই আপনাকে নিজের পাশাপাশি স্ত্রী বা স্বামী, নাবালক সন্তান বা পোষ্যদের নামে থাকা সম্পদের ঠিকুজি জানাতে হবে। এনবিআরের আইটি ১০বি বা আইটি ১০বি ২০১৬ ফরম পূরণ করে এ তথ্য জানাতে হবে। Advertisement

No comments