× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



কী আছে মমতার ভাগ্যে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার জন্য সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার উপনির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনে সেই উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর বিপরীতে আছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আরও আছেন সিপিআইএম প্রার্থী আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। খবর জি নিউজের। পশ্চিমবঙ্গে এপ্রিল-মের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ডাকা হয় উপনির্বাচন। ওই বিধানসভা নির্বাচনেই নন্দীগ্রাম আসনে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা। অবশ্য নির্বাচনে তৃণমূলের জয় হওয়ায় মমতাই আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে হলে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে। সেই বিধি মানতেই ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। সেই জয় নিয়ে তৃণমূল নেতারা শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। দুই সপ্তাহ আগেই দলের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র বলে রেখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে জয়ী হবেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি এত ভোটে জয়ী হবেন যে আগামী ৫০ বছর কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারবে না। যদি কেউ নির্লজ্জ হয়, তাহলে প্রার্থী দেবে।’ নন্দীগ্রামে মমতা হারেননি, তিনি সেখানে ষড়যন্ত্র ও নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ করে মদন মিত্র আরো বলেন, ‘নন্দীগ্রামের জবাব হবে ভবানীপুর। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডল বলেন, প্রিয়াঙ্কা ভবানীপুরে মমতার কাছে এমনভাবে হারবেন যে এই বিজেপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বিজেপির অনেক হাইপ্রফাইল নেতার পরিবর্তে কেন প্রিয়াঙ্কাকেই মমতার বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে, রয়েছে সেই প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর কোনো কোনো বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা দল ছাড়েননি, উল্টো ধরে রেখেছেন মাঠের সক্রিয়তা। ভোট-পরবর্তী নানা সহিংসতার মামলায় আইনি লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। এসবের পুরস্কার হিসেবেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করা হয়েছে ১৫ কম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ওই আসনের অধীন এলাকায়। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬টি উপনির্বাচনকেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। কেন্দ্র অনুসারে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের দায়িত্বও। একেকজন ডিসির সঙ্গে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্যের দল প্রতিটি থানা এলাকায় মোতায়েন থাকছে। এর মধ্যেই বাকি চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ অক্টোবর খরদহ, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষণা ২ নভেম্বর।ADVERTISEMENT (rafiqul)
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments