× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, সুইপার থেকে শুরু করে কোনো পদেই চাহিদা অনুযায়ী লোকবল নেই। সব স্থানেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। যেন যেন শূন্যে শূন্যে চলছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল। ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটি ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, হাসপাতালের ৩১ চিকিৎসক পদের মধ্যে ২০টিই শূন্য। মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৬৪৩। কর্মরত রয়েছেন ৪৪৭ জন এবং শূন্য রয়েছে ১৯৯ পদ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক, আবাসিক সাইক্রিয়াটিস্ট, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), অ্যানেসথেটিস্ট, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, ডেন্টাল সার্জন, এসএলপিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক ছাড়াই চলছে মানসিক এ হাসপাতাল। ফলে জনবলের অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা। নিজেই রোগাক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি। শুধু তাই নয়, ৫০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য অনুমোদন রয়েছে মাত্র ২০০ শয্যার হাসপাতালের জনবল। এ ২০০ শয্যার জনবলের জন্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারী পদেও একই অবস্থা। হাসপাতালটি পাবনা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে হেমায়েতপুরে অবস্থিত। ১৯৫৭ সালে পাবনার সাবেক সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হোসেন গাঙ্গুলি ‘শীতলাই হাউজ’ নামক জমিদার বাড়িতে এটি অস্থায়ীভাবে স্থাপন করেন। ১৯৫৯ সালে জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে হেমায়েতপুরে ১১২.২৫ একরের একটি চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০। ১৯৫৯ সালে দুইশ, ১৯৬৬ সালে চারশ এবং ২০০০ সালে হাসপাতালটিকে পাঁচশ শয্যায় উন্নীত করা হয়। মোট শয্যার ২৮০টি নন-পেয়িং এবং ১২০টি পেয়িং আর প্রকল্পর অধীনে ১০০ শয্যা রয়েছে। হাসপাতালের মোট ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরুষদের জন্য ১৩ (১১টি নন-পেয়িং, দুটি পেয়িং) এবং নারীদের জন্য পাঁচটি (চারটি নন-পেয়িং, একটি পেয়িং) নির্দিষ্ট। তবে প্রতিষ্ঠার অর্ধ শতাব্দী পর জনসংখ্যা ও মানসিক রোগী আশংকাজনক হারে বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি হাসপাতালের শয্যা এবং চিকিৎসকের পদ। পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকট চলেছে। ১০০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া রয়েছে। কিন্তু সেটি ফাইলবন্দি-ই রয়েছে। চিকিৎসকের সংখ্যা যেখানে বাড়ানো দরকার সেখানে অনুমোদিত ৩১ চিকিৎসকের মধ্যে ২০টিই শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ককে প্রশাসনিক কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। সেদিক হিসেব করলে চিকিৎসক আরও কম। তিনি আরও জানান, চিকিৎসকের পদ ছাড়াও প্রথম শ্রেণির ৩৮ পদের মধ্যে ২৩টি শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির ৩১৬ পদের মধ্যে শূন্য ৪১, তৃতীয় শ্রেণির ১১৯টির মধ্যে শূন্য ৩৭ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ১৭০ পদের মধ্যে ১০০টি শূন্য রয়েছে। স্টাফ নার্সের ৪৫ জনের মধ্যে ২৩টি শূন্যের পাশাপাশি তাদের আবাসিক ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালটি শহর থেকে দূরে হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নেই পরিবহন ব্যবস্থা। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের (সুইপার) সংখ্যাও অপ্রতুল। সুইপারের ৩০ পদের মধ্যে ১৭টিই শূন্য। ‘চিকিৎসক ছাড়াও হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীও প্রয়োজন। রোগীদের গোসল, খাওয়া দাওয়া, পায়খান- প্রস্রাব করানো ও পরিষ্কারের কাজে পর্যাপ্ত কর্মচারী ও সুইপার প্রয়োজন।’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান জানান, হাসপাতালকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়তে অনেক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের সেবার মান আরও উন্নত করতে হলে এখানে সব শূন্যপদ পূরণ জরুরি।ADVERTISEMENT (rafiqul)
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments