আনারস প্রতীকের সমর্থনে মুড়ির বস্তা মাথায় নিয়ে মিছিল
আগামী ১১ নভেম্বর শেরপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে সরগরম চারদিক। চলছে মাইকিং, পোস্টার লাগানোসহ নানা প্রচারণা।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ নম্বর বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি নির্বাচনী এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। রোববার (৩১ অক্টোবর) ওই এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষ নিজ উদ্যেগে বের করে মুড়ি মিছিল।
স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন দুলালের সমর্থনে যেখানে অংশগ্রহণ করে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার গ্রামবাসী। এ আয়োজনকে ঘিরে রোববার সকাল থেকে ঘুঘুরাকান্দী বাজারে জড়ো হতে থাকে নারী-পুরুষসহ যুবকরা। মুহূর্তেই মিছিলটি তৈরি হয় জনসমুদ্রে।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল মিয়া বলেন, ‘মিছিল দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন মুড়ি চেয়ারম্যান দিয়েছেন। কিন্তু আসন্ন বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দী ইউনিয়ন পরিষদে একমাত্র যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল। বিগত দিনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকাকালীন সময়ে গরিব মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করেছেন।’
এলাকাবাসী মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘আমরা যে যা পেয়েছি তা দিয়েই আজকের মুড়ির বস্তা কিনেছি। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি দুলাল (স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলাল) ভাইয়ের আনারাস মার্কার জয় হবে’
সমাজসেবক সামেদ আলী বলেন, এই মুড়ি মিছিলে ভ্যানচালক, রিকশাচালক, অটোচালক সবার টাকা আছে। সবাই খুশি হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলালকে ভালোবেসে নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে মুড়ির বস্তা কিনেছেন। তিনি সত্যিই একজন যোগ্য লোক।
ব্যবসায়ী সায়েদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলালের নামে এলাকায় কোনো বদনাম নেই। তিনি একজন সৎ মানুষ। তাই আমরা পুরো গ্রামবাসী আজ একত্র হয়েছি। যেন আগামী ১১ নভেম্বর তাকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়যুক্ত করতে পারি।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, আমি আজকের মিছিল সম্পর্কে জানতাম না। হয়তো অনেকে এটাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করতে পারেন। আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা আমাকে ভালোবেসে এই মুড়ি মিছিল করেছেন।
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments