পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে মমতার জয় রেকর্ড ভোটে
পশ্চিমবঙ্গে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী ও ভবানীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
২১ রাউন্ডের মধ্যে ২০ রাউন্ডে মমতার জয়ের ব্যবধান ৫৬ হাজার ৫৮৮। এই রাউন্ডে মমতা পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬৮ ভোট। প্রিয়াঙ্কা পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৮০ ভোট।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শমসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর ও ভবানীপুর- বিধানসভার তিনটি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপনির্বাচন। এর মধ্যে সবার দৃষ্টি কেবল ভবানীপুরের দিকেই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই কেন্দ্রে জয় পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কারণ এই কেন্দ্রের নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের ওপর তার মুখ্যমন্ত্রী থাকা-না থাকা নির্ভর করছিলো।
এ ছাড়া এই আসনে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে মমতা ব্যানার্জিকে জিততেই হতো এ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনেই জয় পেলেন তিনি।
এর আগে মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তার দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মমতা নিজে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি। দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলনেত্রী। তবে শপথের মেয়াদ ৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছিল মমতার। তার আগেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গত এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয়ের মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে নিজের এক সময়ের ডেপুটি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতের নিয়ম অনুযায়ী কেউ হেরে যাওয়ার পরও তার দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নির্বাচিত সদস্যরা যদি তাকে নেতা নির্বাচিত করেন, তাহলে তার মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
তবে ভোটে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ওই পদে বসার ১৮০ দিনের মধ্যে কোনো একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তা না পারলে ছেড়ে দিতে হবে পদ।
সে নিয়মেই ভবানীপুর আসন থেকে এই উপ নির্বাচনে লড়তে হয়েছে মমতাকে। আর তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
মমতার কাছে এই নির্বাচন ছিল তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাকা করার ভোট। আর বিজেপি প্রার্থীর কাছে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা।
ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে এমএলএ নির্বাচিত করতে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায় এই আসন থেকে পদত্যাগ করে নেত্রীর জন্য পথ খুলে দিয়েছেন। ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে মমতা বলেছিলেন, নিজের আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসাটা তার ভাগ্যে ছিল।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভার ভোটে ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।
এপ্রিলের তুলনায় সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে কিছুটা কম ভোট পড়লেও ভবানীপুরের এর আগের উপনির্বাচনের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ আসনেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। তখন ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশের কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
ADVERTISEMENT (rafiqul)
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments