× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ইউপি নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর অস্ত্র মহড়া

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, তাতে ক্রমেই নির্বাচন পরিস্থিতি সহিংস ও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় বাড়ি-ঘর, অফিস, ভাঙচুর, লুটপাট ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ভিন্ন ভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর অস্ত্র মহড়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কের মধ্যে অস্ত্র বহরের নিচে পিষ্ট হয়ে কলেজ পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীর বেলাব উপজেলা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ একটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুর রহমান মুছা ফরিদপুর ইউনিয়নে প্রবেশ করলে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। এরই মধ্যে বেপরোয়া মোটরবাইক বহরের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ফরিদপুর নাপিতেরচর এলাকায় ইমরান (২১) ও ফজলে রাব্বি (২০) নামের দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, ভাড়াটে লোক এনে বিদ্রোহী প্রার্থী মুছা শান্ত ফরিদপুর ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলেছে এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়া দিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এর আগে একই ইউনিয়নে গত শুক্রবার ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহতসহ একটি অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত শনিবার ২০ নভেম্বর দুপুরে কিশোরগঞ্জের উছমানপুর ইউনিয়নে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ইউপি সদস্য মো. ইদ্রিস মিয়া (ইদু মিয়া) ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থক মুছা মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওইদিন রাতেই নৌকা প্রার্থীর সমর্থক মো. আলম মিয়ার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া ১নং গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নেও নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুর রহমান মুছা বহরে পিষ্ট হয়ে দুইজন আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, যে দুই জন আহত হয়েছে তারা আমার ওয়ার্ডের লোক, সম্পর্কে আমারই ভাতিজা। আমি তাদের চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছি। তবে অস্ত্র বহরের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, আমিও আওয়ামী লীগ করি, আমরা উশৃংখল ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। আমার নির্বাচন বানচাল করার জন্য প্রতিপক্ষ এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান বলেন, যারা নির্বাচন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির করবে, সে যে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়া উশৃংখল দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। কুলিয়ারচর থানার (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে কুলিয়ারচর থানার ফোর্স প্রেরণ করা হয় এবং এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments