পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়তে ভোট চাই হৃদয় খন্দকার

আগামী রবিবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈশ্বরদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় তুমুল ভোটযুদ্ধ চলছে ইউপি সদস্যদের মধ্যে। তৃতীয় দফার এ নির্বাচনে ঈশ্বরদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোটগ্রহণন অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। তবে উপজেলাজুড়ে সবার নজর কেড়েছেন এই ওয়ার্ডের তরুণ প্রার্থী মো: হৃদয় খন্দকার। উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোরগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হৃদয় । হৃদয় একই ইউনিয়নের দাশুড়িয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর মরহুম আলহাজ্জ্ব আব্দুল মতিন খন্দকারের ছেলে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও হাটবাজারে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। গ্রামের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় তার সমর্থকরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। শিক্ষিত ও তরুন প্রজন্মের হৃদয় আমাদের সংযোগকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন,আমার পিতা এই ওয়ার্ডের মেম্বর ছিল, আমার চাচা সামসুল খন্দকারও মেম্বর ছিলেন। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হওয়া স্বত্তেও দাশুড়িয়া বাজার পরিচ্ছন্ন নয়। সেই সাথে মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আমি সকলের সহযোগীতায় পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত দাশুড়িয়া গড়তে চাই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আরও ৪ প্রার্থী রয়েছেন। তারপরও জয়ের সম্ভাবনা দেখছি। কারণ জনগণ আমার সরলতা এবং কাজের কারণে আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমি নির্বাচিত হলে একটি পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়তে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোটার মো: আমির হোসেন খান বলেন, হৃদয়ের মন মানসিকতা উদার। তার কোনো অর্থনৈতিক লোভ-লালসা নেই। তাই আমরাও চাই হৃদয় আমাদের ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের সেবায় এগিয়ে আসুক। এলাকার আরেক ভোটার সাবেক সফল ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান মুকুল বলেন, যারা আমাদের ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী তাদের মধ্যে শিক্ষিত প্রার্থী হৃদয়। সকলের সঙ্গে তার সুস্পর্ক। এলাকায় তরুণদের ভালো জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন তিনি। এলাকার নারী ভোটার মলিনা ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে অনেকে যেখানে সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে না, হৃদয় সেই দিক থেকে অনেক সৎ ও যোগ্য। তাই হৃদয়কে ভোট দেওয়া উচিত। হৃদয়ের সাহস আর অদম্য ইচ্ছা দেখে বিস্মিত উপজেলার মানুষ। স্থানীয় ভোটারা জানান, এলাকার অনেক সুশীল সমাজ তার পক্ষে গণসংযোগ করছেন। তাদের আশা ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হবেন হৃদয়। Advertisement (madimart)

Advertisement (sandha)

Advertisement (pabna sweet)

Advertisement (school)