× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



আওয়ামী লীগে গৃহযুদ্ধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাজিবুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ফলে সভা শেষ না করেই বেরিয়ে যান নেতাকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের উপস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় সভা চলছিল। এ সময় আলোচনা ওঠে- কে নৌকার ভোট করছে, কে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতীক ‘মোবাইল ফোনের’ ভোট করছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস চড়াও হয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক তাজিবুর রহমানকে মারধর করে অফিস থেকে বের করে দেন। তিনি নিজেও অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর নিচ থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী দ্রুত কার্যালয়ের দোতলায় গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানীকেও মারধর করে। এ সময় নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পৌর আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় সভা ছিল। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে করণীয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় কর্মীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। এক পর্যায়ে সাংগঠনিক সম্পাদক তাজিবুর রহমানকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। হঠাৎ করে কিছু ছেলে উপরে এসে উগ্রভাবে আমার উপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। এই ছেলেগুলোকে আমি চিনি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজিবুর রহমান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস জগ প্রতীকের ভোট করছেন। মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে তিনি ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি (আব্দুল ওদুদ) চাইছেন নৌকা ফেল (পরাজিত) করুক। দলের ভোট করায় তার কোন আন্তরিকতা নাই। যখন দেখছি নৌকার ভরাডুবি সুনিশ্চিত তখন কে মোবাইল প্রতীকের ভোট করছে সেটি চিহ্নিত করে আমরা সমাধানের কথা বলছিলাম। তখনই ওদুদ বিশ্বাস আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর আরম্ভ করেন। তিনি আরও বলেন, ওদুদ বিশ্বাস নিজেকে খুব বেশি জাহির করছেন। একে একে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বহিষ্কার করবে। নিজে রাজত্ব করার জন্য। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, পার্টি অফিসে আলোচনা চলছিল এ সময় একজন তাজিবুরকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, আপনি এখানে নৌকা করছেন বাইরে গিয়ে মোবাইল মোবাইল করছেন। সে সময় বাইরে থেকে তার ছেলেদের নিয়ে এসে মাস্তানি করছিল। তখন সাধারণ ছেলেরা ধরে দুই-চার থাপ্পড় দিয়েছে। রাব্বানী ডাক্তারও ওদের সাপোর্টে কথা বলছিল এ জন্য ছেলেরা তাকেও মারধর করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমন্বয় মিটিং চলছিল। এই মিটিংয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছে। কারা মোবাইলের ভোট করছে, কে কার ভোট করছে এ নিয়ে সন্দেহ করছে। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments