× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



সপ্তম বারের চেয়ারম্যান মাজেদ , ২২ বিঘা জমি হারিয়ে

বাবা ছিলেন ইউপি সদস্য। তার কাছ থেকেই শিখেছেন জনগণের পাশে থেকে কিভাবে তাদের মন জয় করতে হয়। সেই যাদুতেই এবার সপ্তম বারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাজেদ খান। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ৩০ বছর ধরে। নির্বাচন করতে গিয়ে অন্তত ২২ বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। সবশেষ গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আব্দুল মাজেদ খান। মাজেদ খান সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, মো. আব্দুল মাজেদ খানের বাবা মৃত আব্দুল আজিজ খান বলধারা ইউনিয়নের মেম্বার ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাজেদ খান। এরপর ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে পৈত্রিক প্রায় ২২ বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে আব্দুল মাজেদকে। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে দুস্থ-অসহায় মানুষের সহায়তায় তার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার পুরো বছরের (১২ মাসের) টাকা জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ কারণে বহুবার বিভিন্ন মামলা-হামলারও শিকার হয়েছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। পুড়িয়ে দেয়া হয় তার বাড়ি-ঘর। চাচাতো ভাই সেলিমকে হত্যা করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের বাবা। এলাকার মানুষের কাছে তিনি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। মূলত এ কারণেই তিনি বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রিপন খান জানান, মাজেদ খান জনগণের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন। ছোট বড় সবার সঙ্গেই হাসি খুশিভাবে চলাফেরা করেন। সবার খোঁজ খবর নেন। এজন্য তিনি এলাকায় এতটা জনপ্রিয়। সামাদ হোসেন নামে একজন ভোটার জানান, আব্দুল মাজেদ এলাকার সবার উপকারে লাগেন। এলাকার জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। যেকোন কাজে ডাকলেই ওনাকে (চেয়ারম্যানকে) পাওয়া যায়। কাজল সরকার নামে অপর এক ভোটার বলেন, তিনি একজন বিচক্ষণ মানুষ। সব সময় ন্যায়বিচার করার চেষ্টা করেন। এজন্য আমরা তাকে ভালোবাসি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মাজেদ খান বলেন, দিনরাত সব সময় এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করি। এজন্যই মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। এবারো বিপুল ভোটে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের জন্য কাজ করবো এবং তাদের পাশে থাকবো। তিনি বলেন, বলধারা ইউনিয়নকে একটি দৃষ্টিনন্দন ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। আব্দুল মাজেদ খান বলেন, অনেকেই নির্বাচিত হলে মনে করে আমি অনেক বড় একটা কিছু হয়ে গেছি। এটা ভাবা যাবে না। জনগণের একজন সেবক হিসেবে নিজেকে ভাবতে হবে। অন্যকে সম্মান দিলে নিজে সম্মান পাওয়া যায়। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments