× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



আগামীকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে চলবে বাস

পরিবহন ধর্মঘট তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতি। তারা জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস চলাচল করবে। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের কারণে সরকার বা জনগণের যেন কোনো ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, আমরা আমরাই চাই। সেকারণে আগামীকাল সকাল থেকে আমরা গাড়ি চালাবো। তিনি বলেন, আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। আমারা দাবি দিয়েছিলাম জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর জন্য অথবা আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য। গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি বন্ধ রেখেছি। আজকেও আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী লোক রাস্তায় পিকিটিং করছে। ইপিজেডের কর্মরত লোকদেরকে যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। কেউ রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে এ কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে আর বিপর্যস্ত অবস্থায় ফেলতে চাচ্ছি না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আগামীকাল সকাল থেকে গাড়ি চালাবো। এদিকে পরিবহন সঙ্কটে অন্যান্য জায়গার মতো চট্টগ্রামেও বেড়েছে জনদুর্ভোগ। উল্টো বাড়তি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে সরেজমিনে চট্টগ্রামজুড়ে দেখা যায়, নগরের ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার, জিইসি মোড় ও বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের অবস্থান। এছাড়া নগরীর প্রতিটি মোড়ে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমায় থাকা যাত্রীদের ভিড়। নগরীর জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, বহদ্দার হাট, জামালখান, চকবাজার, মুরাদপুর প্রায় জায়গায় অপেক্ষমান যাত্রী দেখা গেছে। নগরীর আগ্রাবাদ মোড়ে অপেক্ষমান জুনায়েদ নামের এক যাত্রী বলেন, রাস্তায় দেখি কোনো গণপরিবহন নেই। তাই বাধ্য হয়ে তিন ডাবল ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছি। নগরের ষোলশহর এলাকার বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, আগ্রাবাদ যাওয়ার জন্য ১০ বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছি না। বাসের আশায় দাঁড়িয়ে আছি আধা ঘণ্টা ধরে। বাস আসলে যাত্রী উঠাতে বাধা দিচ্ছে শ্রমিক নেতারা। ছোট ছোট লেগুনাতে নিচ্ছে ডাবল ভাড়া। রিকশা চালকরা দাবি করছে দ্বিগুণ ভাড়া। মনে হচ্ছে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। এদিকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কর্মবিরতির মধ্যেও নগরজুড়ে চলছে ‘সোনার বাংলা’ ও ‘মেট্রো প্রভাতী’। গুটিকয়েক লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের।
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments