× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



কক্সবাজারে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ণের অভিযোগ

স্বামীকে জিম্মি করে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কক্সবাজার কলাতলীর মামস্ হোটেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ণের অভিযোগ এসছে। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা তুলে নিতে ধর্ষকরা উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা। গত ১৩ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তাকে আটকে রাখা হয়। পরে ১৫ ডিসেম্বর রাতে একটি সিএনজিতে করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। মামলা করার ৯ দিনেও ধরা পড়েনি ধর্ষক। ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, পরীক্ষার ফল জেনে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে উত্তর নুনিয়ারছড়ার আশিকের নেতৃত্বে তার সহযোগী কয়েকজন তাকে অপহরণ ও মামস্ হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। কক্সবাজারে কলাতলী রোডের মামস্ আবাসিক হোটেলে ওই স্কুলছাত্রীকে দুইদিন জিম্মি করে ধর্ষণ করেছে। ধরা পড়ার ভয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মুছে ফেলেছে ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। দুই দিন পর রাতে একটি গাড়িতে করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নেয়ার পর পর ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন কক্সবাজার সদর থানায়। মামস্ আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এই নামের কেউ তাদের হোটেলে ছিল না। হোটেলটিতে সিসিটিভি থাকলেও ওই তারিখের ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ম্যানেজার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম বলেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত ও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, আমি দেখেছি বর্তমানেও কক্সবাজারে অসংখ্য পর্যটক রয়েছে। তারা রাতের বেলাও নিরাপদে ভ্রমণ করছে। কক্সবাজারের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে। কোথাও কোনো সমস্য নেই। আর অপরাধ সব জায়গায় সব দেশে কম বেশি থাকে। তাই বলে পর্যটন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা ঠিক না। আমি মনে করি, নারী ধর্ষণের ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা নিয়ে পুরো কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলা মোটেও উচিত নয়। কক্সবাজারে সবাইকে ভ্রমণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আসা এক নারীকে তার স্বামী সন্তানকে বেঁধে রেখে ধর্ষণ করে কিছু সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুন বাদী হয়ে ৪ জনের নাম এবং অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে কক্সবাজার সদর থানায়। শুক্রবার কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজিনের আদালতে জবানবন্দীতে ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে তারা বেড়াতে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গল্ফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিক্সায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিক্সায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গল্ফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেয়া হয় কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। সেখানেও ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে র‌্যাব সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments