মুরাদ কোথায়?
নারীদের নিয়ে বিতর্কিত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ছাড়াও নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গন সবখানে তাকে নিয়ে চলছিল সমালোচনা আর গুঞ্জন। সবশেষ ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপের অডিও ফাঁস হওয়ার পর পুরোপুরি বিপাকে পড়েন জামালপুর থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সোমবার থেকেই নিজেকে আড়াল করে নেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ।
নিজের ব্যক্তিগত ফোন বন্ধ রাখার পাশাপাশি গতকালই তিনি ঢাকা ছেড়েছেন বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। তবে নির্দিষ্ট করে তার অবস্থান কোথায় তা জানা যায়নি। তাই অনেকেই প্রশ্ন করছেন- কোথায় আছেন ‘বিতর্কিত’ এই প্রতিমন্ত্রী।
যদিও মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, তিনি সোমবার চট্টগ্রামে চলে গেছেন। সেখানে কযেকদিন থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে এক ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। লাইভটির সঞ্চালক ছিলেন নাহিদ রেইনস নামে এক ইউটিউবার। সেই লাইভে বিএনপির রাজনীতির সমালোচনার একপর্যায়ে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি ‘আপত্তিকর’ ও ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম ও পরিবারের সদস্যদের নিয়েও কথা বলেন।
জিয়া পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন বিএনপি নেতাকর্মীরা৷ মুরাদ হাসানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবির পাশাপাশি তার পদত্যাগ চায় বিএনপি।
এরমধ্যেই চলচ্চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহীর সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যাতে তিনি মাহীকে হোটেলে ডাকেন। না গেলে বাধ্য করা হবে বলে হুমকি দেন। সেখানে ধর্ষণেরও হুমকি দেন। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার গুঞ্জন জোরালো হয়।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দেন মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কল রেকর্ড ফাঁসের পর দলের ভেতরে বাইরে যখন সমালোচনা ঝড় ওঠে তারমধ্যেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন ডা. মুরাদ। যার কারণে সোমবার তিনি মন্ত্রণালয়ে যাননি। ধানমন্ডির-১৫ নম্বরের বাসভবনেও গতকাল তিনি ছিলেন না।
এছাড়া জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সোমবার বেলা তিনটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি করা হয়েছিল প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে। বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও সেখানে যাননি তিনি। শেষমেশ তাকে ছাড়াই অনুষ্ঠান শেষ করতে হয় আয়োজকদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডা. মুরাদ চট্টগ্রামের উদ্দেশে সোমবার দুপুরেই ঢাকা থেকে রওনা হন। সেখানে তার এক বন্ধুর বাসায় ওঠার কথা। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঠিক অবস্থান কোথায় তা জানা যায়নি।
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments