সমাবেশে চেয়ারে বসা নিয়ে সংঘর্ষ,
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবদল নেতা ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মনিরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ২টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশটি শুরু হয়। পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাবনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের গোপাল লাহিড়ীপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ হারুন, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, দলীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের শেষের দিকে বিকেল পৌনে ৫টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে হঠাৎ করেই সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ। যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ হারুনের বক্তব্য চলাকালে যুবদল নেতা তসলিম হাসান সুইট ও মনির আহমেদের গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে মনিরকে ছুরিকাঘাত করলে সমাবেশস্থলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে নেতা-কর্মীরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ বিএনপির সমাবেশের সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলে দ্রুত নিজেদের বলয়ের নেতা-কর্মীদের ব্যারিকেডে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন, ‘মনিরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাঁকে আমরা প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সমাবেশে চেয়ারে বসা নিয়ে সুইট ও মনির গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে মনিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পুলিশি পাহারায় ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।’
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments