× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



পাবনাতে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে বাবাকে হত্যাচেষ্টা!

নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম উজ্জলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইমরান হোসেন সাদ্দাম তার ১৭ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে ঘুরতে যান। ঠিক তখন প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মোহনের সমর্থক সন্ত্রাসীরা অতর্কিত আক্রমণ করে সাদ্দামের ওপর। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীর। কোল থেকে কেড়ে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে বাবাকে হত্যাচেষ্টা! রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনার বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাদ্দামের কোলের সন্তানকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয় তারা। এরপর রড ও হাতুড়ি দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে সাদ্দামকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে পাবনায় সংঘাত সহিংসতা থামছেই না। বেড়া উপজেলার ঢালারচর, চাকলা ইউনিয়নেও ঘটেছে সংঘাত। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ জনগণের মনে। গত কয়েকদিনে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এসব ইউনিয়নে। সবশেষ রূপপুর ইউনিয়নে নৌকার এজেন্টের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রূপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল হাশেম উজ্জল বলেন, নির্বাচনে জনগণের সমর্থন না পেয়ে আনারসের প্রার্থী মোহন ও তার সমর্থক আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আমি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে তাদের উসকানিকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আনারসের সমর্থক সুজন, শফিক, শিহাব, তিতাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার ভাগ্নে ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাদ্দামকে হত্যার উদ্দেশে নৃশংস আক্রমণ করেছে। ১৭ মাসের শিশু সন্তানকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেও মেরেছে। পরে রড ও হাতুড়ি দিয়ে সাদ্দামের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানাই। এদিকে, হামলার ঘটনার পর গুরুতন আহত সাদ্দামকে স্বজনরা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সাদ্দামের সঙ্গে হাসপাতালে আসা তার স্ত্রী তিশা বলেন, নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমার স্বামীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। আমার শিশুপুত্র তাসিনকেও তারা মেরেছে। দুধের শিশু সন্তানের সামনেই বাবাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করায় সেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তার কান্না কিছুতেই থামাতে পারছি না। পাবনা সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. জাহেদী হাসান রুমী জানান, সাদ্দামের মাথা ও পুরো শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর। সিটি স্ক্যানের পর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি। তবে, ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মোহন। তিনি বলেন, সাদ্দামের ওপর কারা হামলা করেছে আমার জানা নেই। তার ওপর হামলার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এদিকে, পঞ্চম দফা ইউপি নির্বাচন ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠছে একসময়ের চরমপন্থীদের অভয়ারন্য আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নও। দূরবর্তী ও গহীন চরে রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী এ ইউনিয়নে অতীতে প্রায় প্রতিটি ইউপি নির্বাচনেই এখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মহড়ায় সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের প্রচারণায় নামতে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) কাজীপাড়া ও রামনারায়নপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোমিনুর রহমানের ভোট চাওয়ার সময় হাতুড়ি, লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কোরবান আলী সরদারের ছেলে নাসিমের নেতৃত্বাধীন ৮-১০ জনের একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী। ঢালারচর কাজীপাড়ায় দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীরা আসমা খাতুন ও দৌলতি বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। অপরদিকে, রামনারায়নপুরে শাহীন ও রিপনকে হাতুড়ি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের তাদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মমিন বলেন, ঢালারচরের মানুষ নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনে জনগণের সাড়া না পেয়ে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছেন। তারা নৌকা ছাড়া কোনো প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এসব কেন্দ্রে নিরপত্তার জন্য আমি জেলা পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। তবে, প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কোরবান আলী সরদার। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানিয়েছেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments