শিমুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শিমুর হত্যাকারী তার স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার দাবি করেছেন। স্ত্রীকে পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয় বলে দাবি করেছেন নোবেল। জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শিমুর সঙ্গে যার সম্পর্কের কথা বলছেন নোবেল তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে পুলিশ এখনো কথা বলতে পারেনি।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘নোবেল দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে খুব একটা সংকট হয়নি। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো অন্য একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েছেন শিমু। সে পথ থেকে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।’ ঐ কর্মকর্তা বলেন, নোবেল সত্যি বলছেন কি না সেটা জানার জন্য যার সঙ্গে শিমুর সম্পর্কের কথা বলেছেন তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখনো তার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি।
শিমুর বোন ফাতেমা নিশা বলেছেন, এমন কোনো দিন নেই যে বোনের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। আমার বোনের স্বামী তাকে মেরেছে কি না, সেটি আমরা জানি না। ১৮ বছরের সংসারে তাদের মধ্যে পারিবারিক কিংবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কলহ দেখিনি। হত্যাকাণ্ডটি কেন তিনি করবেন? যদিও শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনের দাবি, নোবেলই খুন করেছে। সে মাদকাসক্ত। প্রতিদিনই বোনকে নির্যাতন করত।
এদিকে শিমুকে নিজের খুন করার সময়ে ঐ বাসাতে ছিল তার দুই সন্তান। ঘটনার সময়ে তারা নিজেদের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। এজন্য তারা কিছু বুঝতে পারেনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্যই জানিয়েছেন শিমুর স্বামী নোবেল।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বলেছেন, দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুর স্বামী তাকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন। হত্যার পর লাশ গুমে তিনি গাড়ি চালক ফরহাদের সহযোগিতা নেন। নোবেল ও ফরহাদ বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে আছেন। তিন দিনের রিমান্ডের গতকাল ছিল প্রথম দিন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই ফিঙ্গার প্রিন্টের সহায়তায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিশ্চিত হয় অজ্ঞাত নারী হলেন অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু। এরপর রাত ৪টার দিকে পুলিশ তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে কলাবাগানের ৩৪ গ্রিন রোডের বাসা থেকে আটক করে কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।
খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলের বাড়ি ফরিদপুরের কমলপুর গ্রামে। তাদের ১৫ বছরের এক মেয়ে ও সাত বছরের এক ছেলে আছে।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments