স্বামী ও স্ত্রী’র একই চিতায় দাহ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া হিমাংশু বর্মণ (৩৫) ও তার স্ত্রী সাবিত্রী রানীকে (৩০) একই চিতায় দাহ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রথমে হিমাশু বর্মণ ও পরে সাবিত্রী রানীর মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পূর্ব কাদমা গ্রামের বাড়ি থেকে সাবিত্রীর লাশ উদ্ধার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। সেখান থেকে বেলা ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী হিমাংশু বর্মণ ও তার কন্যা প্রিয়ংকাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওইদিন শুক্রবার বিকেল প্রায় ৪টায় থানা পুলিশ হিমাংশুকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হিমাংশুকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি হিমাংশু থানার একটি কক্ষে গলায় ইন্টারনেটের তার পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তবে হিমাংশুর বাবা বিশ্বেশ্বর বর্মণের দাবি, ‘পুলিশ তার ছেলের কাছে টাকা চেয়েছিল বিষয়টি মীমাংসার জন্য। আর সেই টাকা দিতে না পারায় পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন।‘
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবিত্রী রানী প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন।
এদিকে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘হিমাংশু থানার কক্ষে থাকা ওয়াই-ফাই এর তার গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পরিবারের কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি এগুলো সত্য নয় ‘
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ‘থানায় মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments