× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ঈশ্বরদীতে যুবদলে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

কমিটি গঠন নিয়ে ঈশ্বরদীতে যুবদলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোন্দলের জেরে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ বিশ্বাসকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এই ঘটনার জেরে বিগত ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন ও উপজেলা-পৌর যুবদলের একাংশের নেতাকর্মীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাবুপাড় এলাকার খায়রুজ্জামান বাবু ঈদগাহ সংলগ্ন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মিলনায়তনে যুবদলের এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হোসেন আতিয়ার বলেন, বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনিকে কে বা কারা আঘাত করেছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রী মহল অপরাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছে এবং জনৈক রফিকুল ইসলাম নয়ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে তিনি পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রিপন ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সোনা মনিকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা তার মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম নয়নকে আমরা কখনও কোনদিন রাজপথে দেখিনি। সে দলের নিবেদিত প্রাণ ও পরিশ্রমী যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে টনিকে মারধরের অভিযোগ এনেছেন। এটি একটি চক্রান্ত। সাহসী যুবদলের এসব নেতারা আন্দোলন সংগ্রামে যেন রাজপথে নামতে না পারে সেজন্য সে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমরা এসব অভিযোগের নিন্দা জানাই। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব খায়রুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিষ্ট সরকার, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান স্বপন, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মেহেদি হাসান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল হক মুকুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মামুনুর রশীদ নান্টু, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান জুয়েলসহ স্থানীয় বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিগত ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নের সংবাদ সম্মেলন। এদিকে শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল সড়কের জিগাতলায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন রফিকুল ইসলাম নয়ন। তিনি হামলার জন্য পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক সোনামণিসহ দলের অন্তত ৩০-৪০ জন নেতাকর্মীকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ ব্যাহত করার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য বৃহস্পতিবার তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। ওই হামলায় তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সমর্থক দুলাল মন্ডল, আবু বক্কর সিদ্দিক, আওলাদ হোসেন কিরণ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মোস্তফাসহ তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মী। অন্যদিকে যুবদলের একাংশের নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।’ অভিযোগের বিষয়ে পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, ‘টনি বিশ্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় আমাকে দায়ী করা হয়েছে। এতে আমি অবাক হয়নি। কারণ তিনি একজন নেতাকে খুশি করতে এরচেয়েও বেশি কিছু বলতে পারেন। তবে আমি এটুকু বলতে পারি এ ঘটনার সঙ্গে ঈশ্বরদী যুবদলের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে এটি একটি সাজানো ও অপরিকল্পিত অভিযোগ। বর্তমানে ঈশ্বরদীতে বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার। ওই নির্যাতিতদের পাশে তারা না থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির কর্মসূচি ব্যাহত এবং নানা মিথ্যাচার করছেন।’ জানা গেছে, যুবদলের সাত ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক টনি বিশ্বাস ও অপরপক্ষে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েল। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, টনি বিশ্বাস ও জাকির হোসেন জুয়েল দীর্ঘদিন একইসঙ্গে রাজনীতি করতেন। তারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সম্প্রতি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে টনি বিশ্বাসের মতভেদ বাড়তে থাকে। কয়েকদিন আগে এক কর্মী সমাবেশে টনি বিশ্বাস তাঁর বক্তব্যে জাকির হোসেন জুয়েলের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেন। এতে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দ্বন্দ্বের জের ধরেই বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার উমিরপুর গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে টনি বিশ্বাসের উপর। একই সঙ্গে রফিকুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে ওই রাতেই প্রতিবাদ মিছিল হয় টনির বিশ্বাসের পক্ষে। মিছিলের কিছুক্ষণ পরই দুই পক্ষের মধ্যে শহরের রেলগেটে ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নয়ন হামলার শিকার হন। বর্তমানে টনি বিশ্বাসকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments