দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী
কর্মজীবনে চিকিৎসক হলেও রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া এই নারী ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জের পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সার্বক্ষণিক রাজনীতিতে নামেন। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হলে তিনি পর পর দু'বার মেয়র পদে নির্বাচিত হন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির জন্ম ১৯৬৬ সালের ৬ই জুন। তার বাবা নারায়ণগঞ্জের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বনামধন্য নেতা, মা মমতাজ বেগম। পেশায় চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভি রাশিয়া থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রি নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। জয়ীও হন বিপুল ভোটে। টানা আট বছর পৌর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন সেলিনা হায়াৎ আইভি। তারপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হলে মেয়র নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েন তিনি। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ১ লাখেরও বেশী ভোটে পরাজিত করে নগর ভবনের দায়িত্ব পান সেলিনা হায়াৎ আইভি।
২০১৬ সালে সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর আবারও আস্থা রাখেন নারায়ণগঞ্জবাসী। প্রায় ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করেন।
এবারের নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments