সিইসি, ইসি হিসেবে আলোচনায় তাঁরা
সার্চ কমিটি গঠনের পরপরই সম্ভাব্য সিইসি ও ইসি হিসেবে আলোচনায় আসছে বেশ কিছু নাম। প্রশাসন, বিচার ও পুলিশ ক্যাডারের একাধিক সাবেক কর্মকর্তার নাম এ ক্ষেত্রে যেমন আছে, তেমনি একাধিক সাবেক সেনা কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নামও আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আসতে শুরু করেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সার্চ কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে বিশ্বস্ত মহলগুলোতে একাধিক সাবেক কর্মকর্তার অতীত-বর্তমান কর্মকাণ্ড ও সর্বশেষ স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার নামটি সর্বাগ্রে আলোচনায় আসছে। বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সুনামের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন বিসিএস (প্রশাসন) ’৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা। সিইসি হিসেবে তিনি ভালো করবেন, এমন ধারণা কারো কারো মধ্যে আছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান আলোচনায় আছেন বলে ঢাকা টাইমসকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
ওয়াকিবহাল একাধিক সূত্র ঢাকাটাইমসকে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছে যে সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খানও বিবেচনায় আছেন ইসি হিসেবে। দুজনই প্রশাসন ক্যাডারের ’৮২ ব্যাচের সদস্য। একই ক্যাডারের ’৮৫ ব্যাচের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক, সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নামটিও ইতিউতি উচ্চারিত হচ্ছে।
তবে প্রশাসন ক্যাডারের ’৮৪ ব্যাচের সাবেক সচিব সিরাজুল হক খানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকেই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছে ঢাকা টাইমস। প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক সচিব কামালউদ্দীন তালুকদার, মুশফেকা ইকফাৎ, কানিজ ফাতেমাও আছেন আলোচনায়।
আলাপকালে একাধিক মহল ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছে, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান আলোচনায় আসছেন।
তেমনি আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিকভাবে কতখানি সুস্থ সেই খোঁজখবর নেওয়াও চলছে। আবার একজন কর্মরত নারী বিচারপতিও সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায় আছেন।
ভোটার পরিচয়পত্র প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন এমন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত তিনজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামও ইসি হিসেবে আলোচনায় আসছে বলে ঢাকাটাইমস বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছে। সাবেক দুজন জেলা জজও আছেন সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায়। এর মধ্যে একজন নারী, যাঁর নাম একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও সংশ্লিষ্টদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল। আইন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দুজন সচিবের বিষয় নিয়েও নানা খোঁজখবর চলছে।
Advertisement (madimart)
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments