× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



সহজে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল

নওগাঁর বাজারে আবারো সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারের বেশিরভাগ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত তেল। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। দোকানিদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে কোম্পানি তেল দিচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেলের সঙ্গে আটা, চা পাতা ও সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করছে কোম্পানিগুলো। আবার বাড়তি পণ্যসহ ভোজ্যতেল অর্ডার করলেও সরবরাহ করতে পারছেন না। ফলে অনেক দোকানি বোতলজাত তেলই বিক্রি করছেন না। সোমবার (২৫ এপ্রিল) নওগাঁ পৌর শহরের মসলাপট্টি ও নতুন বাজারের গিয়ে দেখা যায় ভোজ্যতেলের সংকট। অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত তেল নেই। আবার খোলা তেলের দাম বেড়েছে। মসলাপট্টির মেসার্স আবিদ ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক আল মামুন হোসেন বলেন, বোতলজাত বসুন্ধরা তেলের সঙ্গে আটা এবং তীরের সঙ্গে সরিষার তেল কিনতে হবে। এছাড়া রূপচাঁদা ও পুষ্টি তেল সরবরাহ নাই। তাই বোতলজাত তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিনের চাহিদা থাকে দুই কার্টন। এক কার্টনে ৫ লিটারের বোতল থাকে চারটি। ঈদ উপলক্ষে তেলের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ নাই। ডিলাররা বলছেন সরবরাহ বন্ধ। তাই খোলা তেল বিক্রি করছি। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল ১৯৫-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৮০-১৮৫ টাকা কেজি। পৌর শহরের নতুন বাজারের ভাই ভাই মুদি দোকানের মালিক নিরঞ্জন সাহা বলেন, এক সপ্তাহ থেকে বোতলজাত তেল সংকট চলছে। বোতলজাত তেল নিতে হলে সরবরাহকারীরা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এক কার্টনে এক লিটারের বোতলজাত তেলের ১৮টি বোতল থাকে। ১ লিটার তেলের দাম ১৬০ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৭৫০ টাকা। আর বিক্রি ৭৬০ টাকা। এক কার্টন তেল নিতে হলে তার সঙ্গে এক কেজি চা পাতা কিনতে হবে। এছাড়া ৫ লিটার বোতলের ফ্রেশ তেল নিতে হলে তার সঙ্গে ৩ কেজির আটার প্যাকেট কিনতে হবে। যেখানে আমার তেল দরকার সেখানে আটা নিয়ে কি করবো। আর এত আটাতো এখন বিক্রি সম্ভব না। আমাদের তেলের দরকার সেখানে ভিন্ন পণ্য নেওয়া মানে বাড়তি ঝামেলা। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, গত ১০ দিন আগে খোলা সয়াবিন তেল কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি। সেই তেল এখন কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। সামনে ঈদ। এ কারণে বাজারে তেলের সংকট হওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে। নওগাঁ শহরের ডাবপট্টি এলাকার ভোজ্যতেলের ডিলার মেসার্স দূর্গেশ সাহা অ্যান্ড সন্সের মালিক সুমন সাহা বলেন, বর্তমান বাজারে বোতল এবং খোলা দুই জাতের সয়াবিন তেলের সংকট। মিলাররা তেল সরবরাহ না করায় আমরা তেল পাচ্ছি না। এক সপ্তাহ থেকে সরবরাহ কমে গেছে। রমজানের আগে তেলের চাহিদা ছিল ৯ হাজার লিটার। রমজান উপলক্ষে চাহিদা আরও বেড়ে গেছে। এখন দিনে বোতলজাত ও খোলা তেলের চাহিদা প্রায় ১২ হাজার লিটার। খুচরা বিক্রেতারা এসে তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। শহরের আরও প্রায় ১২ জন তেলের ডিলার আছে। সবারই একই অবস্থা। নওগাঁ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট। বিষয়টি জানার পর বাজার পরিদর্শন করা হয়। বোতলজাত তেল ১৬০-১৬২ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দোকানিরা বলছেন তেলের সঙ্গে আটা, চা পাতা ও সরিষার তেলসহ অন্য পণ্যও কেনার শর্ত দিচ্ছে সরবরাহকারীরা। যা অন্যায় বলে মনে হচ্ছে। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments