× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



পাবনায় সবজির দাম বেড়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে পাবনায় সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব চেয়ে বেশি বেড়েছে শসা, পটল ও বেগুনের দাম। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) সকালে পাবনার বড়বাজার, মাসুম বাজার, অনন্ত বাজার, লাইব্রেরি বাজার, হাজিরহাট, কলেজ গেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগের ৪০ টাকা কেজির শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বেগুনের কেজি ছিল ৩০-৪০ টাকা, তা এখন ৬০ টাকায় পৌঁছেছে। ঢ্যাঁড়স ৭০, করলা ৭০, পটল ৬০-৭০ ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫-২০ টাকার লেবু এখন হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। সজনে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। তবে স্বাভাবিক রয়েছে শাকের বাজার। লাল শাক ৩০ টাকা কেজি, আঁটি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। ডাটার শাক বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০-৪০ টাকায়। বড় ডাটার শাক ৩ আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। আর আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, খরায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য বাজারে সবজির সরবরাহ কম। আর রমজানে সবজির চাহিদা একটু বেড়ে যায়। এজন্য প্রতি বছরের এই সময়ে বাজারে কিছু সবজির দাম বেড়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে। খুঁচরা ব্যবসায়ী উজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি কি করতে পারি? পাইকারী বাজার থেকে কেজি প্রতি শসা কিনেছি ৭০ টাকা। এখানে বিক্রি করছি ৭৫-৮০ টাকা। আমাদেরও দিন শেষে ৫০০-১০০০ টাকা হাজিরা থাকতে হবে। ’ আরেক ব্যবসায়ী জামরুল প্রামাণিক বলেন, ‘পাইকারি বাজারেও সবজি নেই। সেখানে আমাদেরই সবজি কিনতে হয় হুড়োহুড়ি করে। আমি পটল, ঢ্যাঁড়স, করলা যে দামে বিক্রি করছি তাতে ২-৩ টাকা কেজিতে লাভ করছি।’ রমজানের শুরুতে বাজারে এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। কয়েকজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে যে অবস্থা তাতে তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিন্তু উপায় নেই। আমরা অসহায় অবস্থায় পড়েছি। বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে আরেক ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই রমজান আসলেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। কিন্তু তা আমাদের প্রশাসনের নজরে পড়ে না। তারা রমজানের আগে এই করব, সেই করব কিন্তু দেখা যায় কিছু হয় না। অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে যায়। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা বেপরোয়াভাবে দাম হাকিয়ে নেয়।’ পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বাজারদর মনিটরিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই বাজার মনিটরিং করছি। আমাদের পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তরও মনিটরিং করছে। অনেক ব্যবসায়ীকে আমরা ইতোমধ্যে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসেছি। এরপরও যদি কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বৃদ্ধি করে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments