ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতিতে টিসিবি'র পণ্য পায়নি ৪ হাজার পরিবার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দুই ইউনিয়নে ৪হাজার ২৫টি পরিবার টিসিবি'র পণ্য পায়নি। ওই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি চলছে। কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে টিসিবি'র পণ্য পাবেন মোট ১৬৪৫৩ জন। এর মধ্যে চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ২০২০ জন ও দলগ্রাম ইউনিয়নে ২০০৫ জন। রমজান শুরুর আগে অন্যান্য ইউনিয়নে পণ্য বিক্রি করা হলেও এখন পর্যন্ত চন্দ্রপুর ও দলগ্রাম ইউনিয়নে তা হয়নি। ওই দুই চেয়ারম্যান উপকারভোগীদের তালিকা জমা না দেয়ায় ইউনিয়নের উপকারভোগীদের কাছে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। পণ্য না পেয়ে ইউনিয়নের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
দলগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, সরকার অসহায় দুস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হলেও আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। চেয়ারম্যান সাহেবরা এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নে মোট ২০০৫জনকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন অর্ধেক দাবী করেছেন তাই পরিষদ থেকে কোন নাম প্রেরণ করা সম্ভব হয়নি।
আর চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপকারভোগীদের তালিকা জমা না দেয়ায় পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পেলে আগামী সপ্তাহে পণ্য দেয়া হবে।
No comments