× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ইউরোপে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে যারা

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে নিজ নিজ দেশের লিগের খেলা প্রায় শেষের দিকে। বেশির ভাগ দলই ৩০টার ওপর ম্যাচ খেলে ফেলেছে লিগগুলোতে। শেষ দিকে ক্লাবগুলো যেমন শিরোপার দৌড়ে আছে তেমনি লড়াই চলছে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জনের। সব লিগগুলো মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা পান ইউরোপিয়ান গোল্ডেন-শু। ২০২১-২২ মৌসুমও শেষের দিকে, গোল্ডেন-বুটের লড়াইটাও জমজমাট। লিগভেদে গোলপ্রতি পয়েন্টের ভিন্নতাও পরিলক্ষিত হয় ইউরোপে। ইউরোপের জনপ্রিয় পাঁচটি লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি আ, ফ্রেঞ্চ লিগ-১ এবং বুন্দেসলিগায় প্রতিটি গোলের জন্য ব্যত্তিগত দুই পয়েন্ট অর্জন করে খেলোয়াড়রা। সে হিসাবে এই মৌসুমে গোল্ডেন-বুটের লড়াইয়ে শীর্ষ তিনের প্রথমে থাকা বায়ার্ন তারকা লেভানডভস্কির ৩২ গোল থেকে পয়েন্ট ৬৪, দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যাৎসিওর চিরো ইম্মোবিলের ২৫ গোল থেকে পয়েন্ট ৫০ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল তারকা বেনজেমার ২৪ গোল থেকে পয়েন্ট ৪৮। সর্বশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে ৪১ গোল করে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন-বুটে জিতে নেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি। বুন্দেসলিগায় এই মৌসুমেও দারুণ ফর্মে আছেন তিনি। ২০২১-২২ মৌসুমেও ২৯ ম্যাচ খেলে ৩২ গোল করে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই স্টাইকার। জার্মান বুন্দেসলিগায় ১৯৬৯-১৯৭৪ সালের মধ্যে বায়ার্নের হয়ে টানা পাঁচ মৌসুম ৩০ বা এর বেশি গোল করে রেকর্ড গড়েছিলেন জার্মান কিংবদন্তি গার্ড মুলার। এবার টানা পাঁচ মৌসুমে ৩০ বা এর বেশি গোল করে ২০২১-২২ মৌসুমে এসে তার এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন লেভা। ৪৮ বছর ধরে তার যে রেকর্ডটি অক্ষত, এই মৌসুমে সেই রেকর্ডে তারই পাশে নাম লেখালেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। হ্যাটট্রিক করেছেন দুটি ম্যাচে, ২টি করে গোল পেয়েছেন সাত ম্যাচে এবং একটি করে গোল পেয়েছে ১২টি ম্যাচে। বুন্দেসলিগায় প্রতি গোলে দুই পয়েন্ট যোগ হওয়ার কারণে লেভানডভস্কি ৩২ গোল থেকে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শুধু বুন্সেলিগাতেই নয় পুরো ইউরোপের মধ্যেই রয়েছেন শীর্ষে। ইতালিয়ান লিগে লাৎসিওর ইতালিয়ান স্টাইকার চিরো ইম্মেবিলে এক মৌসুম আগেই জিতেছেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন-বুটের। মাঝে এক মৌসুম বাদে ২০২১-২২ মৌসুমে আবারো লড়াইয়ে বেশ এগিয়েই আছেন। সিরি আতে ২৮ ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করার পাশাপাশি ২টি গোলে সহায়তা করে ইতালিয়ান লিগে রয়েছেন তালিকার শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাসের সার্বিয়ান স্ট্রাইকার ডুসান ভøাহোভিচ গোল করেছেন ২৩টি। তবে এই মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে ১০ ম্যাচে ৬ গোল করার আগে ফিওরেন্তিনার হয়ে ২১ ম্যাচে করেছিলেন ১৭ গোল। লা লিগায় তো একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। গোল করার দিক থেকে তার ধারে কাছেও নেই কেউ। স্প্যানিশ লিগে ২৭ ম্যাচে ২৪ গোল করে যেমন সর্বোচ্চ গোলদাতা তেমনি আবার ১১টি গোলে সহায়তা করে সেই তালিকায়ও রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। লা লিগায় তার পরে থাকা গেতাফে তারকা উনাল তার থেকে ৯ গোল পিছিয়ে। ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়রের সঙ্গে তার অনবদ্য জুটিতে রিয়াল মাদ্রিদের এই মৌসুমটা যেন দারুণ কাটছে। শুধু লা লিগাতেই নয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও শেষ ষোলো এবং শেষ আটে পিএসজি ও চেলসির মতো দলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে রিয়ালকে নিয়ে গেছেন সেমিফাইনালে। যে কারণে গোল্ডেন-বুটের দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও ব্যালন ডি’অর জেতার তালিকায় অনেকেই এগিয়ে রাখছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরাসি তারকাকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের মধ্যে বেশ জমজমাট লড়াই চলছে। তবে এই লিগে শীর্ষ গোলদাতার তালিকার প্রথম তিনজনের মধ্যে নেই সিটির কোনো খেলোয়াড়। লিভারপুলের মিসরীয় তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ রয়েছেন শীর্ষে। ২৯ ম্যাচ থেকে ২০ গোল করেছেন এই লিভারপুল ফরোয়ার্ড। এর সঙ্গে ১১টি গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি। এরপর ২৯ ম্যাচ থেকে ১৭ গোল করেন এবং ৬টি গোলে সহায়তা করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন টটেনহামের সন হিউং-মিন। ৩৭ বছর বয়সি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও গোল করাতে পিছিয়ে নেই। পুরনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে এই বয়সেও যে একবারে ছন্দ হারিয়ে ফেলেননি তা বলাই যায়। প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ চার ম্যাচের ২টিতে হ্যাটট্রিক করে জিতিয়েছেন দলকে। ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এই ২টি ম্যাচে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে তার হ্যাটট্রিকেই। এই পর্তুগিজ তারকা ২৬ ম্যাচ থেকে ১৫ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেনও তিনটি। ফরাসি লিগ ১-এ সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইটা বেশ জমজমাট। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ২৮ ম্যাচ থেকে ২০ গোল এবং ১৪টি গোলে সহায়তা করে রয়েছেন তালিকার শীর্ষে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেঁনের ফরাসি স্ট্রাইকার মার্টিন টেরিয়ের ৩১ ম্যাচে ১৯ গোল করে রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর ফরাসি তারকা বেন ইয়েদারও ৩১ মাচে গোল করেছেন ১৯টি এবং গোল করিয়েছেন ৪টি।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments