এক ওভারে ৩৫ রান!
বোলিংয়ে মার খেয়েছিলেন। ব্যাট হাতে কি সেটারই প্রতিশোধ নিলেন প্যাট কামিন্স? অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার যেন পুরোদুস্তোর ব্যাটার হয়ে গেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করে রীতিমত বিস্ময় জাগানো এক ইনিংস খেললেন।
কামিন্সের ১৫ বলে ৫৬ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করেই ৪ ওভার হাতে রেখে মুম্বাইয়ের ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কামিন্স এই ১৫ বলের মধ্যে ১০টিকেই পরিণত করেছেন বাউন্ডারিতে। ৪ চারের সঙ্গে হাঁকান ৬টি ছক্কা।
ওই ৬ ছক্কার চারটি আবার এসেছে এক ওভারে। ১৬তম ওভারে ডানহাতি পেসার ড্যানিয়েল স্যামস যখন বল হাতে নিয়েছেন, কলকাতার দরকার ৩০ বলে ৩৫। ওই ৩৫ রানই এক ওভার থেকে নিয়ে নিয়েছেন কামিন্স!
স্বদেশি স্যামসকে প্রথম বলে লংঅনের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন কামিন্স। পরের বলে লংঅন ও ডিপউইকেটের মধ্য দিয়ে চার। তৃতীয় বলে আবার ছক্কা, এবার ডিপমিডউইকেট দিয়ে। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান ফাইন লেগে।
ঘাবড়ে দিয়ে পঞ্চম ডেলিভারি বুকের ওপর দিয়ে বসেন স্যামস। নো-বলে দুই রান নেন কামিন্স। এরপর ফ্রি-হিটে বাউন্ডারি তুলে নিতে ভুল করেননি। ১৪ বলেই ফিফটি পূরণ হয় কামিন্সের, যেটি কিনা আইপিএলে যৌথভাবে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।
এখানেই থামেননি। ওভারের ষষ্ঠ বলটি স্লোয়ার দিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন স্যামস। এবার স্লগ করে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান কামিন্স। দলকে জিতিয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন অসি এই তারকা।
এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পুঁজিটা এত বড় হতো না। ১৯ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩৮। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাইরন পোলার্ড শেষ ওভারে ঝড় তুলেন।
কোপটা পড়ে প্যাট কামিন্সের ওপর। তিন ছক্কাসহ তার করা ইনিংসে শেষ ওভারে পোলার্ড তুলে নেন ২২ রান। ওই প্রতিশোধই যেন নিলেন কামিন্স।
No comments