ঈশ্বরদীতে আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শনে এমপি
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আকস্মিক পরিদর্শনে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি। হাসপাতালের নানা অনিয়ম দেখে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও থানার অফিসার ইনচার্জকে হাসপাতালে তলব করেন। রবিবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পরেই সেখানে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস ও পৌর মেয়র ইসাহাক আলী মালিথা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খানের কার্যালয়ে এমপি তাৎক্ষনিকভাবে বৈঠক বসেন। এসময় তিনি হাসপাতালের জঞ্জাল ও সকল অনিয়ম দূর করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, হাসপাতাল কম্পাউন্ডে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ছাড়া বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, ফুসকা, চটপটি ও বাদামের দোকান অপসারণ করতে হবে, ওষুধ কোম্পানীর দুই শতাধিক প্রতিনিধির কারণে স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই প্রতিনিধিরা সপ্তাহে দুই দিন আউটডোরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ভিজিট করবেন, জরুরি বিভাগে বা ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে পারবেন না ও রোগীদের হয়রানি করা যাবে না। সন্ধ্যার পরে মাদকাসক্তদের প্রবেশাধিকার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, ডিজিটাল এক্সরে এবং ইসিজি মেশিন চালু রাখার ব্যবস্থা, হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারী সহ সকল ডেলিভারির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ঈশ্বরদী হাসপাতালে সকল ডেলিভারির ব্যবস্থা থাকা সত্বেও এক শ্রেণীর ডাক্তার, নার্স ও দালালরা রোগী ও অভিভাবকদের কিনিকে ভর্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এসব নির্দেশনা অতি দ্রæততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে নির্দেশের সাথে সাথে এগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেখভালের জন্য নির্দেশ দেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, পৌর মেয়র ইসাহাক আলী মালিথা, ইউএনও পি এম ইমরুল কায়েস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) টি আই তাহসিন কবীর, হাসপাতালের আরএমও ডা: শফিকুল ইসলাম শামীম, থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ, কৃষকলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক মুরাদ মালিথাসহ হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তাররা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডাঃ শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, মাননীয় এমপি মহোদয় যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছেন সেগুলো আমরা দ্রত সমাধান করবো। এজন্য তিনি ইউএনও, থানার ওসির পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা অভিযোগের ভিত্তিতে এমপি মহোদয়সহ আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব অনিয়ম যেন আর না হয় সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ শুনে আসছি। তাই আজ হঠাৎ করেই হাসপাতালে গিয়ে স্বচক্ষে এসব অনিয়ম দেখে কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যা সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments