× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



চেয়ারম্যানের কাছে অসহায় ইউপি সদস্যরা!

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের নন্দুয়া
য়ারম্যান জমিরুল ইসলামের প্রভাবে ইউপি সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সোমবার (৩০ মে) রানীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন নন্দুয়া ইউনিয়নের ছয় ইউপি সদস্য। ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য হারুণ অর রশিদ, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোকবুল হোসেনসহ আরও তিনজন সদস্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ইউনিয়নের একাধিক সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাও অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ৮নং ওয়ার্ড সদস্য রুহুল আমিন বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের সম্মানিভাতা আত্মসাৎ করেন। পরিষদে আমাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। ভিজিডি ও ভিজিএফসহ অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন। আমরা এ বিষয়ে ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুণ অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, একজন চেয়ারম্যান একাই কারও তোয়াক্কা না করে তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও নাগরিকদের কোনো সুবিধা দিতে পারছি না। এতে জনগণের কাছে আমরা কোনো জবাবদিহি করতে পারছি না। ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোকবুল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তবে এসব বিষয়ে কোনো জবাবদিহি করেন না তিনি। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছি। আমাদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না তিনি। আরেক ইউপি সদস্য সিরাজুল বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগণের কোনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। ওয়ার্ডে যারা চেয়ারম্যানের আত্মীয় তারাই সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। আমাকে কোনোদিন কাজ করার সুযোগ দেননি। তার কাছে আমরা অসহায়। তার হুমকি ধমকিতে আমরা অতিষ্ট হয়ে গেছি। আমরা চেয়ারম্যানের বিচার চাই। ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, করোনাকালে চেয়ারম্যানের কোনো সুবিধা আমরা পাইনি। বরং সাহায্য চাইতে গেলে লাঞ্ছিত হয়েছি। আমাকে কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে চেয়ারম্যান। আমি ৫০ বছরে এমন চেয়ারম্যান দেখিনি। আরেক বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, এমনও দিন গেছে না খেয়ে থেকেছি। তবুও চেয়ারম্যানের কোনো সহানুভূতি পাইনি। কুকুর বলেও সম্বোধন করেছেন চেয়ারম্যান। তারপর থেকে আর পরিষদে যাইনি। তবে চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন তাই আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তারা। আমি ইউনিয়ন পরিষদে কখনো কাউকে অপমান করিনি এবং বেআইনি কোনো কাজ করিনি। জানতে চাইলে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাঈন কবির বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments