× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



নয়টি অনিয়মের অভিযোগ পৌরসভার মেয়র বরখাস্ত

নয়টি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনিয়মগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে কেন অপসারণ করা হবে না সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত তিনি পত্র হাতে পাননি বলে জানা গেছে। জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও পৌরসভার বিধিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্প্রতি অভিযোগগুলো তদন্ত করেন। এরমধ্যে নয়টি অভিযোগের প্রমাণ পান স্থানীয় সরকার বিভাগের তদন্ত দল। পরে তারা তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেন। যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- হাট বাজার ইজারার টাকা যথা সময়ে আদায় না হলেও আইনগত পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৬৪ লাখ টাকা বরাত্ত থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৫ টাকার টেন্ডার করা এবং ২০২০-২০২১ পর্যন্ত অর্থ্যাৎ পরবর্তী তিন বছরের বরাদ্দ থেকে সম্বনয় করার কারণে পরবর্তী বছরগুলোতেও টেন্ডার করা হয়নি। যা বিধি সম্মত হয়নি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে পৌরসভার গরীব দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকার মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯০ টাকা বিধি বিধান না মেনে অসচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়েছে। এই মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৩ জনকে মাস্টার রোলে কোনো বিধি বিধান না মেনে কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছেন। যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধার্যকৃত নিবন্ধন ও নবায়ন ফি হতে আয় দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ, ইজিবাইক হলুদ, নীল রং দ্বারা চিহ্নিতকরণ ডাটাবেজ তৈরি প্রভৃতি করার সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু তার কোনো কিছুই করা হয়নি। বর্ণিত সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আদায়কৃত অর্থ দিয়ে বেতন ভাতা সম্মানি খাতে ব্যয় করা হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভায় ৬১টি বিল বোর্ডের ভাড়াবাবদ ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা দীর্ঘদিন বকেয়া রয়েছে। তা তিনি বিশেষ কারণে আদায়ের ব্যবস্থা নেননি। দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে পৌরসভার জমির ভাড়া দাবি করে ২৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১০ সালে ৩০ মে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দিনাজপুর পৌরসভার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৮ লাখ টাকা ভবন নির্মাণ না করে কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন বোনাস ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের সম্মানি ভাতা প্রদান করেছেন যা বিধি সম্মত হয়নি। উল্লেখিত অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (১)(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষি সাব্যস্ত করে কেন তাকে উক্ত আইনের ধারা ৩২ এর উপ ধারা (২) ও(৩) অনুয়ায়ী মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হবে না সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এর আগে উপরোক্ত অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দুদককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৃথক দুটি চিঠি ইস্যু করেন। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এখন পর্যন্ত আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে দিনাজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments