কমল চালের দাম
সরবরাহ বাড়ায় হিলি বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে প্রকারভেদে ৩-৫ টাকা।
পাঁচ টাকা কমল প্রতি কেজি চালের দাম
বাজারের চালের আড়তদাররা জানান, সরকারের এমন অভিযান যদি চলমান থাকে এবং নতুন চাল বাজারে এলে আরও দাম কমে আসবে। এদিকে চালের দাম কমায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
শনিবার (০৪ জুন) সকালে হিলি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে কমেছে সব ধরনের চালের দাম। প্রতি কেজিতে চালের দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।
মিনিকেট চাল বর্তমান ৬১ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে, যা তিন দিন আগে ছিল ৬৪ টাকা। স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৫০ টাকা। ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৫২ টাকা। ২৯ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি।
বাজারে কয়েকজন চাল বিক্রেতা জানান, সরকারিভাবে বাজারে অভিযান শুরুর কারণেই কমতে শুরু করেছে চালের দাম। তা ছাড়া মিল মালিকরাও চাল মিলে মজুত না রেখে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে যার কারণেই মূলত চালের সরবরাহ বাড়াই কমেছে দাম।
অপর চাল বিক্রেতা বলেন, সরকারিভাবে চালের মিল ও চালের বাজারে অভিযানের কারণে চালের সরবরাহ বাড়ছে। মিল মালিকগুলো বাজারে চাল সরবরাহ দিচ্ছে। তাই তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ২ থেকে তিন টাকা।
চাল কিনতে এসে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, কয়েকদিন আগে চালের দাম যেভাবে বাড়তে শুরু করেছিল, সেই রকম থাকলে আজ মনে হয় আমাদের ৭০ থেকে ৮০ কেজিদরে চাল কিনতো হতো। আর এখন কেনো চালের দাম বাড়বে, এখন তো ভরা ধানের মৌসুম। এখন আরও চালের দাম কমার কথা। তবে গত তিন দিনের তুলনায় আজকে একটু চালের দাম কম। চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমেছে। তবে প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের কারণে দামটা একটু কমছে। এ রকম দাম কমতে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
এ বিষয়ে হিলি হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর-এ আলম জানান, ধানের ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে অভিযানে নামে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে আমি গত বুধবার (৩১ মে) হিলি হাকিমপুর উপজেলার ২২টি মিলসহ বিভিন্ন চালের আড়তে অভিযান চালানো হয়।
‘এ সময় কয়েকটি মিলে অবৈধভাবে চাল মজুতের প্রমাণ পাওয়ায় একটি মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বাজারে চাল বেশি দামে বিক্রির দায়ে আড়তদারদের ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং সব কয়টি মিল মালিকদের চাল মজুত না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। যার কারণেই মূলত বাজারে চাল সরবরাহ শুরু হয়েছে এবং দাম কমতে শুরু করেছে। প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments