× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



ঘুষ ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট

অসাধু কর্মচারীদের সাথে হাত মিলিয়ে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গড়ে উঠেছে একটি দালাল চক্র। ঘুষ দিলে কাজ হয়ে যায় বিদ্যুৎ গতিতে, আর না দিলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের। তবে পাসপোর্টের কর্মকর্তাদের দাবি, অফিসে কোনো দালাল চক্র নেই। এদিকে, দালাল ও অসাধু কর্মচারীদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষ। বাড়তি টাকা ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট। একদিকে দালাল চক্রের অর্থ বাণিজ্য ও অন্যদিকে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা, কর্মচারীর অনিয়মের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা। দালালরা বলছেন, তারা কিছু অশিক্ষিত মানুষের ফরম পূরণ করে দেয় এবং বিনিময়ে কিছু অর্থ পায়। অনিয়ম করে বাড়তি টাকা নেয় পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তারা। আর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে তাদের নিকট থেকে বাড়তি অর্থ নিচ্ছে অসাধু কর্মকর্তারা। একাধিক সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ফরম জমা দিলে সেই ফরম সহজে জমা দেয়া যায়। দালালদের আশ্রয় না নিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। তারা পাসপোর্ট ফরমে সংকেত ব্যবহার করেন। এছাড়া সেখানে কর্মরত কিছু আনসার সদস্যরাও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত। তাদের মাধ্যমেই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা বাড়তি টাকার ভাগ পান। এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট করতে আসা আনিস বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। পাঁচ মাস পূর্বে ছুটিতে দেশে আসি। আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নবায়ন করার জন্য প্রায় সাড়ে চার মাস যাবত পাসপোর্ট অফিসে ঘুরতেছি। আমার কাছে আনছার সদস্য ৪ হাজার টাকা দাবি করে ৬ নম্বর রুমে দেখা করতে বলেন। ৬ নম্বর রুমে যোগাযোগ করা হলে ওই কর্মকর্তা ও ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে পাসপোর্ট দিবে। টাকা না দিলে দিবে না বলে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এই অফিসে দালাল ছাড়া কোন পাসপোর্ট হয় না। সাটুরিয়া উপজেলার জান্না গ্রামের রফিক বলেন, আমার পাসপোর্টে শুধু নাম ভুল হয়েছে। নাম সঠিক করতে ৩৫ হাজার টাকা চান পাসপোর্ট অফিসের পাশের কম্পিউটার দোকানী। সর্বশেষ এখন বিশ হাজার টাকা দিলে আমার নাম ঠিক করে দিবে আরেক দালাল শাহজাহান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাসপোর্ট করতে আসা আরেক নারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত ঘুরতেছি। আজকে অফিসারের সাথে ঝগড়া করে আসলাম। সামনে সপ্তাহে আমাকে পাসপোর্ট দিবে। টাকা ছাড়া কি আর পাসপোর্ট হয় নাকি। টাকা দিছি অনেক। কত দিছি বলা যাবে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিস চলাকালীন সময় দালালদের বেশ আনাগোনা। গেটের আনসার সদস্যদের সাথে দালালদের গোপন আলাপচারিতা। পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে প্রায় ১ শ' মিটার রাস্তায় দালালদের ভীড়। অনেক দালাল কৌশলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসিয়েছে। সেবা গৃহীতারা অফিসে প্রবেশ করার আগেই দালালদের খপ্পরে পরে যায়। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ বলেন, যার কাছে বাড়তি টাকা চেয়েছে। তাকে দিয়ে একটা লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments