দুই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, অতঃপর ডেপুটি স্পিকার, কতটা মসৃণ ছিল রাজনৈতিক পথচলা?
দুই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। তিনবার সংসদ সদস্য। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতেও জায়গা হয়েছিল। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রাপ্তিটা নেহায়েত কম নয়। বলা যায়, ডেপুটি স্পিকারের পদ পাওয়ায় ষোলকলা পূর্ণও হলো।
কতটা মসৃন ছিল নতুন ডেপুটি স্পিকারের পথচলা? খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অন্য এক অধ্যায়ও দেখতে পাচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টুকু কি আদৌ জাতীয় সংসদে দলের মনোনয়ন পাবেন? এমন সংশয় এক সময় তাঁর অনুগামী ও শুভাকাক্ষীদের ছিল।
পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া) আসনে তখন আওয়ামী লীগ নেতা বলতে অধ্যাপক আবু সাইয়ীদই শেষ কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধা টুকুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে যখন অনুগামীরা শঙ্কিত তখনই অঘটন ঘটল রাজনীতিতে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (২০০৭) সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ নাম লেখালেন সংস্কারপন্থীদের তালিকায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, তখন থেকেই ঘুরতে শুরু করল শামসুল হক টুকুর ভাগ্যের চাকা। ২০০৯ সালে প্রথমবার জাতীয় সংসদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হলেন।
মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ দপ্তর। কিছুদিন যেতে না যেতেই সাহারা খাতুনের ডেপুটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রাদপ্রদীপের আলোয় সব সময়ই ছিলেন টুকু।
নিজ নির্বাচনী এলাকায় বারবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে তাকে কঠিন বেগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ।
তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন টুকুকে। অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী টুকু তখনও কি ভেবেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আরও প্রাপ্তি অপেক্ষা করছে?
ছেলেকে পৌর মেয়র বানাতে গিয়ে আপন ভাই বেড়া পৌরসভার দীর্ঘকালের মেয়র আব্দুল বাতেনের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। এভাবে বিভিন্ন সময়ে অনেক বিতর্কে পড়তে হয়েছে কারণে, অকারণেও। হাল না ছাড়া সেই শামসুল হক টুকুই এখন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments