× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



সরকারি অফিস যেন কর্মকর্তার বাসভবন

যশোর বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবাকেন্দ্রটি (জেইএসসি) এখন যেন কর্মকর্তার বাসভবনে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রটির সেন্টার ইনচার্জ মোহাম্মদ দিদারুল হক সেখানে রেখেছেন ফ্রিজ ও খাট। তার অফিস কক্ষে দেখা গেছে, যত্রতত্রভাবে পড়ে রয়েছে জামাকাপড়। এছাড়া অফিসের রান্নাঘরে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিও ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সেন্টার ইনচার্জ মোহাম্মদ দিদারুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন। সরেজমিন অফিসটিতে গিয়ে দেখা যায়, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে পড়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। তার নিচে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি। অফিসটির পিয়ন ব্যস্ত কর্মকর্তার দুপুরের খাবার রান্না করা নিয়ে। অফিসকক্ষে গ্যাসে রান্না করায় রয়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এখানে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বছরে ৪৫টি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মূলত দক্ষতা উন্নয়ন, মার্কেটিং ও পণ্যের গুণগত মান নিয়ে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ চলে। বাকি সময়ে কর্মকর্তাদের কোনো কাজ থাকে না। যেকারণে সরকারি অফিসটি এখন বাসা-বাড়িতে পরিণত হয়েছে। সেখানে সেন্টার ইনচার্জ নিজে রাত্রিযাপন করেন। রয়েছে তার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। সরকার তার বেতনের সঙ্গে ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেয়। অথচ তিনি অফিস কক্ষেই থাকেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে সেন্টার ইনচার্জ মোহাম্মদ দিদারুল হক জানান, প্রধান কার্যালয়ের মৌখিক অনুমতি নিয়ে তিনি অফিসে সাময়িকভাবে বসবাস করছেন। বাসা খুঁজছেন; পেলেই সেখানে চলে যাবেন। আর ছবি ফেলে রাখার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। অফিসের একটি চক্র তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অফিসকে সেটি জানিয়েছেন এবং তাকে বদলিও করে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট) ও নির্বাহী পরিচালক (জেডিপিসি) রেখা রানী বালো বলেন, বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবাকেন্দ্র যশোরের ইনচার্জের অফিসে রাতযাপন ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে রাখার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তিনি আরও বলেন, অফিসে বসবাস করার কোনো সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের মৌখিক অনুমতি কে দিয়েছেন তা জানা নেই। আর মৌখিক কোনো কথায় অফিস চলে না। এজন্য একজন কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments