গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান-অরবিন্দ সরকার
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপন এবং সার্বিক নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঈশ্বরদী থানার সভা কক্ষে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৮টি পূজা মন্দিরের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় ঈশ্বরদী ট্রাফিক পরিদর্শক নজরুল ইসলাম, আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এম এ রউফ খান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মৌবাড়ি ও ঠাকুরবাড়ী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার কুন্ডু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র সাহা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোপাল অধিকারী, মৌবাড়ি ও ঠাকুরবাড়ী মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরাফ, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র পাল, মাতৃ মন্দির কমিটির সভাপতি রমেন্দ্র নাথ রায় বেল্টু, সাধারণ সম্পাদক মাধব চন্দ্র পাল, দাশুড়িয়া দেবক্রিয়া মন্দিরের সম্পাদক মাধব কুন্ডু, সহ-সভাপতি পলান কর্মকার, দাশুড়িয়া মাতৃ মন্দিরের গৌতম সেন, রেলগেট মাতৃ মন্দিরের সভাপতি পার্থ সারথি দে, হরে কৃষ্ণ মন্দিরের বিকাশ কুন্ডু, শিবশক্তি যোগমায়া মন্দিরের রাজেশ সরাফ, স্কুলপাড়া পূজা কমিটির স্বপন রায়, লিখন কুন্ডু, অপূর্ব চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন, ।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, থানার কর্মকর্তারা পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশনাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া যাতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়।’ সেইসঙ্গে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে ঈশ্বরদী থানার মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। প্রতিটি মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদাভাবে ব্যাচ অথবা ছবিসহ কার্ড দিয়ে দায়িত্ব বণ্টন করে দিতে হবে, প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবককে শালীন এবং বিনয়ী হয়ে পূজায় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদীতে দূর্গাপূজায় কোন ব্যক্তিকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গেলে সরাসরি চালান করা হবে এবং দশমীর পর ছাড়া হবে। মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিটি মন্দিরে জরুরি যোগাযোগ নাম্বারসহ ব্যানার এবং রেজিস্টার বই প্রদান করা হয়।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments