পাবনায় মন্দিরের জায়গা দখল করে মেয়রের কোটি টাকার বাণিজ্য মেলা! পাবনায় মন্দিরের জায়গা দখল করে মেয়রে
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর শ্রী শ্রী কলিমাতা মন্দিরের জায়গা জোর দখল করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য মেলার বসানোর অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন ব্যাহত ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ফরিদপুর ইউএনও এবং দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকসহ একাধিক সরকারি দফতরের অভিযোগ দিয়েছে মন্দিরের স্থায়ী সেক্রেটারি শ্রী দিপক কুমার সরকার কাঞ্চন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে মেয়র মাজেদ ও তার আপন চাচাতো ভাই আব্দুল মমিন জোর করে নিজস্ব সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে মন্দিরের অফিস ঘর ও মন্দিরের তালা ভেঙে জায়গা দখল করেন এবং সেখানে মাসিক মেলার আয়োজন করে। যা থেকে মেয়র মাজেদ কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে। এইসব টাকা মেয়র আত্মসাৎ করে থাকেন। এবার (২০২২) সেখানে জোর করে মেলা বসানোর সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এতে সেখানে এবারও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ও সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সেক্রেটারি শ্রী দিপক কুমার সরকার কাঞ্চন বলেন, ‘বার বার বলেও আমরা প্রতিকার পাচ্ছি না। আমি ভীতিকর অবস্থায় আছি। আমরা বিভিন্নি স্থানে অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত এই মেলা বন্ধসহ মন্দিরের জায়গা ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। তানাহলে এখানে বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।’
এ বিষয়ে মেয়র খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, ‘দিপক কুমার সরকার কাঞ্চন একজন বদমাইশ। সেই ওই মন্দিরের জায়গা দখল করে বালির ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করতে। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে হিন্দু সমাজ আমার কাছে আসলে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান, মেম্বার, হিন্দু সমাজের নেতাসহ সবার সম্প্রতি ও সহযোগিতায় মন্দিরের তালা খুলে সকল হিন্দুদের জন্য পূজামণ্ডপের ব্যবস্থা করেছি।
মেলার বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘আগে দিপক কুমার সরকার কাঞ্চন নিজেই ওখানে মেলা দিত এবং টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করতো। এখন তারা ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। একারণে বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত-তরখাস্ত দিয়ে এইসব করে বেরাচ্ছে। এখন যে মেলা হচ্ছে তা ওখানকার হিন্দু সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবেই আয়োজন করছে। হয়তো আমার ভাইয়ের একটু সহযোগিতা করছে আরকি। কিন্তু তার অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা।’
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খাইরুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগটি ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নির্দেশনা আসলেই আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ বিষযে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. জেসমিন আরার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ব্যক্তব্য পাওযা সম্ভব হয়নি।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments