রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লিপাত্র স্থাপন ১৯ অক্টোবর
ঈশ্বরদীস্থ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূলযন্ত্র রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (চুল্লিপাত্র) স্থাপন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
রূপপুর প্রকল্প সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়েক্টর স্থাপনের উদ্বোধনে সদয় সম্মত হয়েছেন। যা দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদীতে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও কার্যাদি সম্পাদনে সহযোগিতা প্রদান ও মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত মনিটরিং কমিটির নিয়মিত সভায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয়।
উপজেলার সাহাপুরের নতুনহাটে গ্রিনসিটি আবাসিকে ‘আরএনপিপি’ ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীসহ রূপপুর প্রকল্প, পাবনা ও কুষ্টিয়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জি এস এম জাফরউল্লাহ বলেন, রিয়্যাক্টর স্থাপনের স্থাপনের ছয় থেকে আটমাসের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমরা আশা করছি। এতে প্রথমপর্যায়ে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যা নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে রূপপুর দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রূপপুরে প্রতিদিন তিন শিফটে দেশী-বিদেশী ২৩-২৪ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন।
Advertisement (sandha)
Advertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)
No comments