× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১৯৪৯ থেকে ২০২২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বসছে শনিবার। ঐহিত্যবাহী এ দলের আগের সম্মেলনগুলোও বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ করা আওয়ামী লীগই ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের পথ ধরে বাঙালিকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীনতার বন্দরে। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগই ২৩ বছর সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের সম্মেলনেই সাধারণ সম্পাদক হন তরুণ নেতা শেখ মুজিব। রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে ভাসানী ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ।১৯৬৬ সালে ষষ্ঠ সম্মেলনে শেখ মুজিবকে করা হয় দলের সভাপতি। আওয়ামী লীগের ৭৩ বছরের যাত্রাপথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের সভাপতি পদে ছিলেন চারবার। ১৯৭৫ সালের ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হওয়ার পর ১৯৮১ সালে নেতৃত্বে আসেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। এরপর থেকে টানা ৪১ বছর তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব সামলে আসছেন। দেশবাসীকে তিনি দেখাচ্ছেন উন্নত, স্মার্ট দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। প্রথম সম্মেলন: ২৩ ও ২৪ জুন ১৯৪৯ সভাপতি: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক: শামসুল হক। প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। দ্বিতীয় সম্মেলন: ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর ১৯৫৩ সভাপতি: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক: শেখ মুজিবুর রহমান। তৃতীয় সম্মেলন: ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৫ সভাপতি: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক: শেখ মুজিবুর রহমান। চতুর্থ সম্মেলন: ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ সভাপতি: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক: শেখ মুজিবুর রহমান। বিশেষ সম্মেলন: ১৩ ও ১৪ জুন ১৯৫৭ মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। পঞ্চম সম্মেলন: ৬ ও ৮ মার্চ ১৯৬৪ সভাপতি: মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, সাধারণ সম্পাদক: শেখ মুজিবুর রহমান। ষষ্ঠ সম্মেলন: ১৮ থেকে ২০ মার্চ, ১৯৬৬ সভাপতি: শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক: তাজউদ্দীন আহমদ। সপ্তম সম্মেলন: ১৯ আগস্ট, ১৯৬৭ সভাপতি: শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক: তাজউদ্দীন আহমদ। অষ্টম সম্মেলন: ৪ জুন, ১৯৭০ সভাপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক: তাজউদ্দীন আহমদ। নবম সম্মেলন: ৭ ও ৮ এপ্রিল, ১৯৭২ সভাপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক: জিল্লুর রহমান। দশম সম্মেলন: ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৪ সভাপতি: এ এইচ এম কামারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক: জিল্লুর রহমান। ১১তম সম্মেলন: ৩ ও ৪ এপ্রিল, ১৯৭৭ আহ্বায়ক: সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন। তবে, এর আগে ১৯৭৬ সালে দল পুনরুজ্জীবনের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়িত্ব পালন করেন। ১২তম সম্মেলন: ৩ থেকে ৫ মার্চ, ১৯৭৮ সভাপতি: আবদুল মালেক উকিল, সাধারণ সম্পাদক: আবদুর রাজ্জাক। ১৩তম সম্মেলন: ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: আবদুর রাজ্জাক। রাজ্জাক বহিষ্কৃত হলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন। ১৪তম সম্মেলন: ১ থেকে ৩ জানুয়ারি, ১৯৮৭ সভাপতি: শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৫তম সম্মেলন: ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: জিল্লুর রহমান। ১৬তম সম্মেলন: ৬ ও ৭ মে, ১৯৯৭ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: জিল্লুর রহমান। ১৭তম সম্মেলন: ২৬ ডিসেম্বর, ২০০২ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: আবদুল জলিল। ১৮তম সম্মেলন: ২৪ জুলাই ২০০৯ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ১৯তম সম্মেলন: ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০তম সম্মেলন: ২২-২৩ অক্টোবর, ২০১৬ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: ওবায়দুল কাদের। ২১তম সম্মেলন: ২০-২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সভাপতি: শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক: ওবায়দুল কাদের। (১৯৫৭ সালে চতুর্থ সম্মেলনটি বাদে সব সম্মেলনই হয়েছিল ঢাকায়, চতুর্থ সম্মেলন হয় টাঙ্গাইলের কাগমারীতে)

No comments