রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মনোনয়ন পাওয়ায় ঈশ্বরদীতে আনন্দ মিছিল
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পাবনার কৃতিসান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় ঈশ্বরদীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও আনন্দ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষও।
রোববার (১২ ফেব্রæয়ারি) সকালে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার খবর প্রকাশের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে শহরে আনন্দ মিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিল শেষে আনন্দ সমাবেশে বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আনন্দ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুজ্জামান নাসিম, আব্দুস সালাম খান, শফিউল আলম বিশ্বাস, কৃষকলীগ নেতা ফজলুর রহমান মালিথা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সজিব মালিথা, যুবলীগ নেতা তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মলিক মিলন মাহমুদ তন্ময় প্রমুখ।
মিছিলটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফুটপাতের দোকানীসহ পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
পাবনা জেলা থেকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলার সাধারণ মানুষ। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ার (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী ও মাতা খায়রুন্নেসা। তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে এইচএসসি পাস করেন ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হন। পেশাগত জীবনে প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির জীবন-সদস্য।
No comments