× প্রচ্ছদ ঈশ্বরদী পাবনা জাতীয় রাজনীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষাজ্ঞন বিনোদন খেলাধূলা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্বাচন কলাম
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঈশ্বরদী খেলা প্রযুক্তি বিনোদন শিক্ষা



অধ্যক্ষের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ

শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার গ্রহণ করছে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ। পড় তোমার প্রভুর নামে এই নীতিবাক্য নিয়ে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ ১৯৬৩ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলার ঐতিহ্যবাহী ২য় বৃহত্তম কলেজ হিসেবে পরিচিত ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ। বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও ১২ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজে। ১৯৬৩ সালে স্থাপিত ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ছোট বড় ৭ টা ভবন রয়েছে যা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জটিলতার কারনে কোন সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। জেলার ২য় বৃহত্তম কলেজ হিসেবে পরিচিত ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পরেই অবকাঠামো উন্নয়নের ছোঁয়া মেলেছে। সংস্কার করা হয়েছে পুরনো ভবনগুলো। বিগত সময়ে অনেক অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করে গেছেন তবে হয়নি কোন উন্নয়নমুলক কার্যক্রম। এদিকে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলাম যোগদান করার পর কলেজের নির্মিত সকল ভবন, অফিসকক্ষ, শ্রেণীকক্ষ, টয়লেট, ইত্যাদি পরিদর্শন করে নতুন করে সংস্কারণ কাজ শুরু করেন। এছাড়াও কলেজের ভিতর অবাধে বহিরাগত প্রবেশ, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বাদ দিয়ে আড্ডা ও নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরাতে প্রতিটি বিভাগে, করিডোরে, শ্রেণিকক্ষে ও ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলাম। নতুন অধ্যক্ষের যোগদানের পড় বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে মাত্র ৩ মাস ২৫ দিনে কলেজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অধ্যক্ষ নিজ উদ্যেগে পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার ও মেরামত করেছেন। কলেজের মূল ফটকের সামনে অডিটোরিয়াম ভবনের সাথে নতুন করে তৈরী করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যাল। কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য তিনি সকল শিক্ষার্থীকে ক্লাস করা বাধ্যতামুলক, ডিজিটাল হাজিরা, স্মার্ট আইডি কার্ড, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কলেজ চলাকালীন সময়ে অযথা আড্ডার ব্যাপারে নিয়েছেন কড়া ব্যাবস্থা, শহিদ মিনার সংস্করণ, পতাকা স্টান্ড ও গার্ড মঞ্চ তৈরী, শহিদ মারুফ হাসান মিন্টু স্মৃতি মুক্ত মঞ্চ নির্মান, বিজ্ঞান ভবন ও ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের সামনে রেলিং সহ ফুলের বাগান, শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল স্মার্ট বোর্ড স্থাপন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পানির জন্য গভীর নলকুপ স্থাপন, মেয়েদের কমন রুম সংস্কার ও ছেলেদের কমন রুম তৈরী, নতুন করে রেড ক্রিসেন্ট দলের সূচনা, রোভার গ্রুপ নতুন রুপে তৈরী, প্রতিটি ভবনে রং ও প্রতিটি বিভাগে নতুন করে আধুনিক সাইন বোর্ড স্থাপন, বিজ্ঞান ভবনে ডিজিটাল নোটিশ বোর্ড, লাইব্রেরি আধুনিকায়ন, ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে ফুলের বাগান তৈরী, ছাত্র সংসদ সংস্কার, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে- ২০২৩ উপজেলার শ্রেষ্টতা অর্জন, নিয়মিত একদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাশ শুরুর পূর্বে জাতীয় শপথ বাক্য পাঠ করানো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়েছে অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলামের যোগদানের পর থেকে।
প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলাম বলেন, “কলেজের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা করেছি যে কিভাবে পরিবেশ সুন্দর করা যায়। শিক্ষার মান ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে কলেজের জন্য যা করনীয় তাই আমি করবো। সকল বাধা অতিক্রম করে আমাদের শিক্ষক, কর্মচারি সবাইকে নিয়ে কাজ ত্বরান্বিত করার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছি । কলেজকে আধুনিকায়ন ও উন্নত করার জন্য আমার আরো দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে আর তা অল্প সময়েই বাস্তবায়ন হবে”। নতুন অধ্যক্ষ স্যারের এমন উন্নয়ন মুলক কার্যক্রমে কলেজে কমর্রত শিক্ষকবৃন্দ সকলেই খুশি। এদিকে কলেজের এমন হটাৎ উন্নয়নমুলক পরিবর্তনে শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছে এবং নতুন অধ্যক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্যে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাফল্য মাইলফলক। উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন অধ্যক্ষ, প্রফেসর এস এম রবিউল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান (রসায়ন): প্রফেসর ড. মোঃ রোকনুজ্জামান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীঃ রওনক তাবাসসুম রাইসা, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান,( হিসাব বিজ্ঞান): মোঃ ফরিদুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ রোভারঃ মোঃ অপু রায়হান, শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপঃ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ , শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক প্রভাষক, (ইসলামের ইতিহাস): আব্দুল্লহ আল মামুন, শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসিঃ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ, তাৎক্ষণিক অভিনয়ঃ মোঃ মহিদুল ইসলাম, তাৎক্ষনিক অভিনয়ঃ মোছাঃ উম্মে মারিয়াম মীম, লোক নৃত্যঃ স্বরনীকা ঘোষ, লোক সঙ্গীতঃ রওনক তাবাসসুম রাইসা, লোক সঙ্গীতঃ উর্মিলা চৌধুরী, উচ্চাঙ্গ সংগীতঃ রাব্বুল হোসেন, নজরুল সঙ্গীতঃ রওনক তাবাসসুম রাইসা, নজরুল সঙ্গীতঃ রাব্বুল হোসেন, রবীন্দ্র সঙ্গীতঃ হুমাইরা জাহান তুশমী, শতাব্দী বিশ্বাস, দেশাত্মবোধক গানঃ রাব্বুল হোসেন, নির্ধারিত বক্তৃতাঃ মোঃ রকি হোসেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতাঃ জান্নাতুল মুসতারিন জিতু, বাংলা কবিতা আবৃত্তিঃ রওনক তাবাসসুম রাইসা, উম্মে মারিয়াম মীম, ইংরেজি বক্তৃতা প্রতিযোগিতা : ইসরাত জাহান মীম হামদ/ নাতঃ হুমাইরা জাহান, হামদ/ নাতঃ ইশরাত জাহান। অবকাঠামো থেকে পাঠদান সার্বিকভাবে আরও এগিয়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠান এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
Advertisement (sandha)
A
dvertisement (pabna sweet)
Advertisement (school)

No comments